বিজ্ঞাপন

কারামুক্তি পেয়ে পরীক্ষার হলে খাদিজা

November 20, 2023 | 1:05 pm

জবি করেসপন্ডেন্ট

জবি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় ১৫ মাস কারাগারে থাকার পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এক বছর গ্যাপ দিয়ে পরবর্তী সেশনের ২০২০-২০২১ (১৬ ব্যাচের) সঙ্গে চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা কক্ষে খাদিজা “স্ট্যাটিসটিকাল এপ্রোচ অব দ্য স্টোরি অব পলিটিক্স” কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পরীক্ষায় খাদিজা অংশগ্রহণ করে ১১টা ৩০মিনিটে।

এ সময় উপস্থিত থাকা খাদিজার বোন মুনিরা বলেন, কারাগার থেকে বের হয়েও খাদিজা পরীক্ষা দিতে এসেছেন। এমনিতেই তিনি দুই সেমিস্টার পিছিয়ে গেছেন। আজ পরীক্ষায় অংশ নিলেন যেন এরপর বাকি সব পরীক্ষা দিতে পারেন।

পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে খাদিজাতুল কোবরা বলেন, আমার এখনও মনে হচ্ছে আমি কারাগারেই আছি। এখানে এসে কোনোমতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আগামী পরীক্ষাগুলোও দেব। আর কিছু বলতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। আজ থেকে খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় দ্রুত আদেশের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয় প্রধান বিচারপতির কাছে। যার প্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ নির্দেশ প্রদান করেন।

অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন খাদিজা।

বিজ্ঞাপন

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। ধারাবাহিতকায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন।

সারাবাংলা/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন