বিজ্ঞাপন

ঢাকার ২০ আসনের মধ্যে ৯টিতেই নতুন প্রার্থী আ.লীগের

November 26, 2023 | 6:55 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বেশির ভাগ আসনেই বর্তমান সংসদ সদস্যদেরই ফের মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। পরিবর্তনও এসেছে বেশকিছু আসনে। এর মধ্যে ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে আটটিতেই বর্তমান সংসদ সদস্যদের বাইরে অন্যদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তালিকায় দেখা যায়, ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ৯টিতে বর্তমান সদস্যদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসনগুলো হলো— ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১৩ ও ঢাকা-১৪।

দশম ও একাদশ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনটি মূলত আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছিল জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিকে। দুই নির্বাচনেই জাতীয় পার্টির নেতা আবু হোসেন বাবলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে সানজিদা খানমকে। তিনি ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-৫ আসনে টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা। ২০২০ সালে তিনি মারা গেলে এই আসনে উপনির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। এবারে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে হারুনুর রশীদ মুন্নাকে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনটিতে জোটের প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছিলেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ। এবারে এই আসন থেকে সাঈদ খোকনকে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সাঈদ খোকন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে। তিনি নিজেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন।

ঢাকা-৭ আসনে টানা দুই মেয়াদের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের হাজী সেলিম। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি নির্বাচন করছেন না এবার। তার জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে তার ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমকে।

ঢাকা-৮ আসনটিও গত তিন নির্বাচনে জোটসঙ্গী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার আর জোটের জন্য আসনটি ছেড়ে দিচ্ছে না দলটি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে এই আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা-১০ আসনটিতে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে এমপি হয়েছিলেন শেখ পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য আসনটি ছেড়ে দেন। ২০২০ সালের উপনির্বাচনে ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে প্রার্থী করেছিল আওয়ামী লীগ। এবার এই আসনে দলটি প্রার্থী করেছে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদকে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা-১১ আসনে টানা দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের এ কে এম রহমতুল্লাহ। এবারে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিনের নাম।

ঢাকা-১৩ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক খান। এবারে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসন থেকে নানক সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এক নির্বাচন বিরতি দিয়ে নানক আবারও এই আসনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেলেন।

ঢাকা-১৪ আসনে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন আসলামুল হক। তার মৃত্যুতে ২০২১ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হন আগা খান মিন্টু। এবারে এই আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে।

এ ছাড়া ঢাকা-১ আসনে সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান), ঢাকা-২ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ আসনে বর্তমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-৯ আসনে সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১২ আসনে আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৫ আসনে কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনে মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৯ আসনে ডা. মো. এনামুর রহমান ও ঢাকা-২০ আসনে বেনজীর আহমেদকে আগের মতোই প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।

এর বাইরে ঢাকা-১৭ আসনে আকবর আলী খান ওরফে চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে এ বছরই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ঢাকা-১৮ আসনে সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ২০২০ সালের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছিলেন মোহাম্মদ হাবিব হাসান। তাদের দুজনকেই ফের প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন