বিজ্ঞাপন

‘আতঙ্কে ২ কোটি মানুষ ঘর ছাড়া’

December 4, 2023 | 5:53 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশ আতংকে দেশের দুই কোটি মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। এরা ফেরারি জীবন যাপন করছে। এলাকায়-এলাকায় অপ্রকাশ্যে উদ্বাস্তু ক্যাম্প গড়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘গত দুই মাসে প্রায় ২০ হাজার মুক্তিকামী জনতাকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে। বন্দি নির্যাতনের নেপথ্যে কাহিনী অবর্ণনীয়, এগুলো হচ্ছে চিকিৎসা না দিয়ে হত্যা, অসুস্থ বন্দিকে হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে কারা হাসপাতালের ফেলে রাখা, ছোট্ট সেলে ধারণ ক্ষমতার তিনগুন বন্দিকে গ্যাস চেম্বারের ন্যায় নিগৃহীত করা।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়েও এই আওয়ামী রক্ষী বাহিনী ভীষণ রকম হিংসাশ্রয়ী। তাদেরকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর। তাদের কাছে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যরা মানুষ না। বিএনপির নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবার এমনকি তাদের আত্মীয় স্বজনও হামলার লক্ষ্যবস্তু আর তাদের সম্পদ যেন গনিমতের মাল।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘রাতের গভীরে আওয়ামী দলদাস হানাদার বাহিনী হানা দিচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষের বাড়ি-বাড়ি। বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের না পেলে তাদের ছেলেসন্তান, স্ত্রী, মা-বোন-ভাই-বাবাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ভাংচুর লুটপাট করছে। মুক্তিপন আদায় করছে। ১৯৭১ সালে রাজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি বাহিনীর লোকজন পাকিস্তানী বাহিনীকে বিভৎস হত্যার মদদ দিত, ধরিয়ে দিত মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবারের লোকজনদেরকে। বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন নতুন করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিবাহিনীর ভুমিকায় আর্বিভুত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সংঘাতের বীজ বপন করে রক্তক্ষয়ী পরিণতির ফলশ্রুতিতে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে গুপ্ত হামলা চালানো হচ্ছে। গুপ্ত হামলায় এখন পর্যন্ত চারজন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। একই কায়দা-কৌশলে গত এক মাস ধরে দেশে রক্ত ঝরাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসবাদী দল। মাথায় হেলমেট, মুখে মুখোশ পরে নম্বর প্লেটবিহীন মাইক্রোবাস অথবা মোটরসাইকেলে রাতের অন্ধকারে এসে গুপ্ত হামলা করছে আওয়ামী গুপ্ত ঘাতকরা। রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ককটেল বোমা মারা হচ্ছে। এইসব ঘটনায় সরাসরি পুলিশ প্রশাসন মদদ দিচ্ছে। তার প্রমাণ হলো কোনো ঘটনায়ই থানায় অভিযোগ ও মামলা নিচ্ছে না। দেশের আইন শৃংখলা বলে কিছুই নেই। সব দুর্বৃত্তদের অধিকারে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন