বিজ্ঞাপন

আচরণবিধি লঙ্ঘন: ‘সরি’ বললেন রেজাউল-লতিফ

December 7, 2023 | 7:30 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের লিখিত জবাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। জবাবে দুই নেতা তাদের কর্মকাণ্ডে আইনের ব্যত্যয় হয়ে থাকলে, সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সদস্য তৃতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ বেগম আঞ্জুমান আরার আদালতে তাদের পক্ষে লিখিত জবাব দাখিল করেন আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী।

অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আইনে লেখা আছে, তফসিল ঘোষণার তিন সপ্তাহের মধ্যে কেউ কোনো নির্বাচনি সভা করতে পারবেন না। অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি সভা করা যাবে। এম এ লতিফ তার নিজস্ব কম্পাউন্ডে কর্মীসভা করেছেন। আর মেয়র রেজাউল নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নেতা। নেতা হিসেবে তিনি এম এ লতিফের কর্মীদের নিয়ে আয়োজন করা বৈঠকে গিয়েছেন।’

‘এম এ লতিফ কোনো নির্বাচনি সভা করেননি। এ ছাড়া ইসির সার্কুলারে লেখা আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত বাছাইপূর্বক চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হবে না, ততক্ষণ কেউ প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন না। তারপরও যদি অনুসন্ধান কমিটি মনে করে এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে, তার জন্য দুইজনই সরি বলেছেন।’

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি লিখিত জবাব গ্রহণ করে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ যাতে প্রশ্ন তুলতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে আইনজীবী কফিল উদ্দিন জানান।

গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) লতিফ ও রেজাউলের বিরুদ্ধে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর হোন্দলপারা এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আনোয়ারুল করিম।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় এলাকার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ লতিফকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণার জন্য যান। তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চান, যা পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। লাভজনক পদে থেকে পুলিশ প্রটোকলসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও প্রার্থী এম এ লতিফ সুস্পষ্টভাবে উভয়ে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের ভিত্তিতে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী এম এ লতিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ নেই। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১২ ধারায় বলা আছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না।

সারাবাংলা/আইসি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন