বিজ্ঞাপন

১৩ দিনের জন্য সেনাবাহিনী চেয়েছে ইসি

December 11, 2023 | 9:11 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের আগে-পরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সশস্ত্র বাহিনীও জানিয়েছে, কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সেনা সদস্যদের ভোটের মাঠে মোতায়েনের সব প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে ১৩ দিনের জন্য সেনা মোতায়েনের চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছি, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাইলে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামাতে পারব।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৮৮টি উপজেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল আরও ৮৭ উপজেলায়। এবারে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর কাছে কী পরিমাণ সদস্য চেয়েছে— জানতে চাইলে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, গত বছর আমাদের ৩৫ হাজার সেনা সদস্য মাঠে ছিল। আমরা জানিয়েছি, এবার ইসি যদি এর চেয়েও বেশি সদস্য মাঠে চায়, তা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের ডিউটিতে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা থাকবে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, এসব বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

সেনা মোতায়েনের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন হবে জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বলেন, সেনা মোতায়েনের জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিতে হবে কমিশনকে। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আমরা মাঠে নামার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।

সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন