December 17, 2023 | 11:38 am
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে জাকের পার্টি। ২১৮ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দলটি।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য জানা গেছে। এবারের নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল দলটি।
এর আগে, শনিবার রাতে পার্টির সদ্য সাবেক মহাসচিব এজাজ রসুল সারাবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আসন ভাগাভাগির এ নির্বাচনে আমরা থাকতে চাই না। রোববার সকালে আমাদের মিটিং আছে। ওই মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
‘আমি এখন আর দলের মহাসচিব পদে নেই। এখন থেকে মহাসচিব শামীম হায়দার। যেকোনো তথ্যের জন্য তাকে ফোন দেবেন’— বলেন এজাজ রসুল।
রোববার সকালে দলটির সহ-সভাপতি সালামত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সব আসন থেকে আমাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। এটা দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত।’
এদিকে দলটির বর্তমান মহাসচিব শামীম হায়দারকে বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া জাকের পার্টির অফিসের নম্বরে ফোন দিলে এক ব্যক্তি সেটি রিসিভ করে বলেন, ‘অ্যাভোকেট মনিরুজ্জামান আমাদের দফতর সম্পাদক। তাকে ফোন দিন।’
পরে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামানাকে বেশ কয়েকটি ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। সদ্য সাবেক মহাসচিব এজাজ রসুলও ফোন ধরেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শুরু থেকেই নির্বাচনে থাকার কোনো ইচ্ছা ছিল না জাকের পার্টির। ফলে ২১৮টি আসনে প্রার্থী দিলেও দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সাল কোনো আসনে প্রার্থী হননি। তিনি বরাবরই ফরিদপুর-৪ (সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছিলেন। এবার তিনি আশা করেছিলেন এ আসনটি তাকে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু এ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান নিক্সন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ। বিকেল ৪টার মধ্যে বৈধ প্রার্থীরা রিটার্নিং কার্যালয়ে হাজির হয়ে অথবা বার্তাবাহকের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন থেকেই নির্বাচনের প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন। তবে পরে আপিলে অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। সবমিলিয়ে ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
ছয়দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আপিল আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসাবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছিল দুই হাজার ২৬০ জন।
সারাবাংলা/এজেড/এনএস