বিজ্ঞাপন

‘আউয়াল বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে হামলা করাচ্ছেন’

January 2, 2024 | 11:10 am

পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবারও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। একই আসনে আগের দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন এ কে এম এ আউয়াল। জেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি এবারে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এই আসনে আরও দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও স্থানীয়রা মনে করছেন, ভোটের মাঠে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই দুজনের মধ্যেই। ভোটের মাঠে নির্বাচনি প্রচারেও দুজনের উপস্থিতি দেখা গেছে সমানে সমান। দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত থেকে শুরু করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পর্যন্ত ঘটেছে। দুপক্ষ থেকেই সহিংস এই পরিস্থিতির জন্য প্রতিপক্ষ শিবিরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পিরোজপুর-১ আসনে ভোটের মাঠের এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শ ম রেজাউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলা ডটনেটের। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের প্রাথমিক স্কুল মাঠে নির্বাচনি জনসভা মঞ্চে বসেই সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সাক্ষাৎকারে নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আজমল হক হেলাল। সাক্ষাৎকারের প্রধান অংশটুকু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

সারাবাংলা: পিরোজপুর-১ আসনে প্রচার শুরু হওয়ার আগেই নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন কি?

শ ম রেজাউল করিম: নির্বাচনের প্রচার কার্যক্রম নিয়ে ঝুঁকি তো রয়েছেই। কারণ আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম এ আউয়াল বিএনপির সন্ত্রাসীদের কাছে টেনে নিয়ে আমাদের নির্বাচনি ক্যাম্প ও গণসংযোগে হামলা করাচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: এ কে এম এ আউয়াল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আপনি বর্তমান সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী। আপনারা দুজনেই আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় দুপক্ষের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি ও সংঘাত নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

শ ম রেজাউল করিম: আউয়াল সাহেব যেকোনো মূল্যে এমপি হতে চান। এ জন্য তিনি জঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর মতো হয়ে গেছেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে দানবের মতো আচরণ করছেন। তিনি বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে নিয়েছেন। আর সেই ভাড়াটিয়া কর্মী বাহিনী দিয়ে মিছিল-মিটিংয়ের পাশাপাশি নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা করাচ্ছেন। কিন্তু আমার কর্মীদের বলেছি, আমরা কোনো সংঘাত চাই না।

সারাবাংলা: আপনি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে পূর্ণ মেয়াদ পার করেছেন। এই পাঁচ বছরে পিরোজপুরের জন্য কী উন্নয়ন করেছে?

বিজ্ঞাপন

শ ম রেজাউল করিম: আমি পাঁচ বছরের জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছি বলতে গেলে দুই বছর। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল দেশ। সবকিছু বন্ধ ছিল প্রায় দুই বছর। এক বছর ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অর্থনীতিতে নেমে আসে স্থবিরতা। বাকি দুই বছর সময়ের মধ্যেও পিরোজপুর জেলার জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, বিদ্যুৎ স্টেশন এনেছি। পিরোজপুরের জন্য পলিটেকনিক স্থাপনের বরাদ্দ করিয়েছি। বিসিক শিল্পনগরী, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পাসপোর্ট অফিস এনেছি। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্টের কাজ তো করেছিই। সরকারি সব দফতরে দুর্নীতি বন্ধ করেছি। এক কথায় পিরোজপুরের অভাবনীয় উন্নয়ন করেছি। পিরোজপুরকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছি।

সারাবাংলা: নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আপনি কতটা আশাবাদী? জয় পেলে পিরোজপুরের জন্য আর কী করতে চান?

শ ম রেজাউল করিম: পিরোজপুরের জন্য আমি যা কিছু করেছি, তাতে আমি আশাবাদী যে জনগণ আমাকেই আবার ভোট দিয়ে জয়ী করবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে সারাদেশের মধ্যে পিরোজপুরকে সবচেয়ে স্মার্ট ও অত্যাধুনিক জেলায় রূপান্তর করব। পিরোজপুরকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত জেলায় রূপান্তর করব।

সারাবাংলা: ভোটারদের উদ্দেশে কিছু বলতে চান কি না?

বিজ্ঞাপন

শ ম রেজাউল করিম: আউয়াল সাহেবরা বাজপাখি (ঈগল) নিয়ে নির্বাচন করছেন। তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যেকোনো মূল্যে এমপি হয়ে জনগণের ওপর শকুনের মতো চেপে বসা। মানুষ মারা, লুটতরাজ আর টেন্ডারবাজি ছাড়া তারা আর কিছু বোঝেন না। কিন্তু আমি আমৃত্যু পিরোজপুরবাসীর পক্ষে থাকতে চাই। পিরোজপুরবাসীর সেবা করতে চাই। পিরোজপুরবাসীকে বলব, আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

সারাবাংলা: সারাবাংলাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

শ ম রেজাউল করিম: সারাবাংলাকেও ধন্যবাদ।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন