বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য থাকবে এই মেয়াদে’

January 14, 2024 | 4:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ফের আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে প্রথমদিনের কর্মদিবসে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারীদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। সেটার একটি সফলতা আনার জন্য।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে অস্বস্তিকর বলে যে মন্তব্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন করেছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটি কথা বলতে চাই, নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো সহিংসতা ছিল না। কোনো দেশের নির্বাচনের সময় আন্তঃকোন্দল যেটা হয়, ততটুকুই হয়েছে। এমন কোনো বড়ো ঘটনা ঘটেনি, যেটাকে অনেক সহিংসতা বলা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, সে কারণে তাদের কারাগারে যেতে হয়েছে। তাদের মামলা এখনও চলমান রয়েছে। বিচার আদালত করে, সরকারের কোনো হাত নেই। আমি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবো। কারণ আমার মনে হয়, তথ্যগত কারণে তিনি এমন বিবৃতি দিয়েছেন।’

সুশাসন নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখবে, জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার দেশবাসীর প্রতি এবং নির্দেশনা আমাদের প্রতি, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় অনেক অগ্রগতি সাধারণ করেছে। প্রথম কথা হলো, আমরা যখন কোভিড মহামারি ছিল, তখন বিশ্বজুড়ে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যেও বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা স্থবিরতা চলে এসেছিল।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চুয়াল আদালত স্থাপন করে আমরা বিচার ত্বরান্বিত করা হয়েছে। কারাগারেও যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেই অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনেক মামলার সুরাহা করা হয়েছে। আমরা অনেক আইন করেছি, বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন। এই আইনে যে সংশোধন করা হয়েছে, নারীদের ইজ্জতের ব্যাপার ছিল সেখানে। এটি একটি বিরাট পদক্ষেপ। এভাবে আমরা অনেক আইন করেছি। তারপর নির্বাচন আইন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যে আইন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুসারে যে আইন করা হয়েছে, তাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে দুটি বিভাগই যথেষ্ট কাজ করেছে। আমার মনে হয়, তাতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমার মনে হয়, এভাবে কাজ করে গেলে আমাদের অগ্রাধিকার বহুদিন যাবৎ মামলা জটের বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে গেল ১০-১৫ বছর আমাদের এই মামলা জটের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে, আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন