বিজ্ঞাপন

টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ৯ দিন পর আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

February 2, 2024 | 6:37 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বাসাইলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী জিজান হাসান দীপ্ত (১৮) মারা গেছেন। হামলার ঘটনার ৯ দিনের মাথায় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

নিহত জিজান হাসান দীপ্ত সখীপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মল্লিকের ছেলে।

ঢাকায় বিজিবি পিলখানায় অবস্থিত বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় দীপ্ত। পরীক্ষায় পাসের পর সে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

জিজান হাসান দীপ্তর চাচাতো মামা বাসাইল পৌরসভার কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, জিজান হাসান দীপ্ত গত ২৩ জানুয়ারি বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় তার নানা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে সমবয়সী বাসাইল উত্তরপাড়ার নাঈম ও সজল খানের সঙ্গে জিজান হাসান দীপ্ত বাসাইল বাজারে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে নাঈমকে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিল বাসাইল বাজারের একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। এ সময় জিজান হাসান দীপ্ত ও সজল খানও উপস্থিত ছিল। এরপর সন্ধ্যায় আবার তারা তিনজনে মিলে বাসাইল বাজারের দিকে যাওয়ার সময় বাসাইল মনি ক্লিনিকের সামনের মোড়ে পৌঁছালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নাঈম ও সজল প্রাণ রক্ষার্থে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জিজান হাসান দীপ্তকে ধারালো দা, কাঠের স্ট্যাম্প, লোহার পাইপে মোটরসাইকেলের চেইন প্রিমিয়াম ঝালাইযুক্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জিজান হাসান দীপ্তকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন থেকে তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার সিএমএইচ হাপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ‘গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী জিজান হাসান দীপ্ত’র মা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪জন অজ্ঞাত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ পর্যন্ত তিজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন