বিজ্ঞাপন

জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৭৮%

February 15, 2024 | 11:47 pm

স্টাফ করেসপেন্ডন্ট

ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করা হলেও বছর শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশে। কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও শিল্প ও সেবাখাতের নেতিবাচকতার কারণে সার্বিকভাবে জিডিপি কমেছে।

বিজ্ঞাপন

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের অভিঘাত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। টানা উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রফতানি কমে যাওয়া, দেশের শিল্প ও সেবা খাতের সবচেয়ে উৎপাদন ও কার্যক্রম কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত জিডিপির হিসাবে দেখা যায়, দেশের কৃষিতে উৎপাদন বাড়লেও শিল্প ও সেবা খাতে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা এর আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

কৃষিতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও হতাশার চিত্র শিল্প ও সেবাখাতে। শিল্প খাতে গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশে, আগের বছরে তা ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে, যেটি ২০২১-২২ অর্থবছরেও ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

চলতি অর্থবছর তথা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বিবিএস জিডিপির প্রান্তিক হিসাব প্রকাশ করে বলছে, জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে বিবিএস নিয়মিতভাবে স্থূল দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রাক্কলন করে থাকে।

সরকারের ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত এবং পরে আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী বিবিএসের মাধ্যমে ত্রৈমাসিক স্থূল দেশজ উৎপাদ প্রাক্কলনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বিবিএসও উৎপাদন পদ্ধতিতে জিডিপি প্রাক্কলন করছে। তবে বার্ষিক জিডিপি উৎপাদন ও ব্যয় পদ্ধতিতে প্রাক্কলনও প্রকাশ করা হয়। ত্রৈমাসিক প্রাক্কলনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির হ্রাস-বৃদ্ধির প্রবণতা পরিমাপ করা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন