বিজ্ঞাপন

মালিকের সোয়া ১১ লাখ টাকা মেরে কিনতে গেল তক্ষক!

February 24, 2024 | 7:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সোয়া ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর টেরিবাজারের এক দোকান কর্মচারী ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আড়াই লাখ টাকায় একটি তক্ষক কিনে দ্বিগুণ দামে বিক্রির প্রলোভনে পড়ে ওই কর্মচারী দোকানের টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের কমিশনার পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় আত্মসাৎ করা সাড়ে ৯ লাখ নগদ টাকা এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার দু’টি চেক তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেফতার এমরানুল হক (২৪) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতিয়ারকূল গ্রামের বাসিন্দা। নগরীর টেরিবাজারে রাবেতা ক্লথ স্টোর নামে একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। গ্রেফতার অপরজনের নাম মোক্তার আহমদ (৪৭)। তার বাড়ি চকরিয়ার পুকুরিয়ায়।

পুলিশ জানায়, এমরানুল টেরিবাজারে রাবেতা ক্লথ স্টোরে গত ১০ বছর ধরে কর্মরত ছিল। বিশ্বস্ত কর্মচারী হিসেবে দোকান মালিক কামরুল ইসলাম তাকে টাকা লেনদেনের ভার দেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমরানুল দোকান থেকে নগদ ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে টেরিবাজারেই ইসলামী ব্যাংকের শাখায় যান। সঙ্গে একই ব্যাংকের টেরিবাজার ও চকরিয়া শাখার এক লাখ ৩২ হাজার ও ৩০ হাজার টাকার দু’টি আলাদা চেকও নেন।

বিজ্ঞাপন

নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘মূলত মালিকের নির্দেশেই এমরানুল হক টাকা ও চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়েছিলেন। রাবেতা ক্লথ স্টোরে যাদের কাছ থেকে মালামাল কেনা হয়, তাদের পাওনা পরিশোধের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে তাকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সে দোকানে ফেরত না এসে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। মালিকপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন।’

পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে চকরিয়ায় এমরানুলের অবস্থান শনাক্ত করে সেখানে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গ্রেফতার মোক্তার আহমদের বাড়িতে তার আশ্রয়ে ছিলেন। সেই মোক্তারের আলমারি থেকে নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার দু’টি চেক উদ্ধার করা হয়। বাকি ১৩ হাজার টাকা এমরানুল খরচ করেছেন বলে জানান।

সহকারী পুলিশ কমিশনার অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে এমরানুল জানিয়েছে, পূর্বপরিচিত মোক্তার তাকে আড়াই লাখ টাকায় একটি তক্ষক কিনে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেবে বলে জানিয়েছিল। দ্বিগুণ লাভের লোভে পড়ে সে সাড়ে ৯ লাখ টাকা ও দু’টি চেক মোক্তারকে দিয়ে দেয়। আজ (শনিবার) মোক্তার তাকে তক্ষক কিনে দেওয়ার জন্য খাগড়াছড়িতে নিয়ে যাবার কথা ছিল। তবে এমরানুলের দাবি সঠিক কি না, সেটা নিয়ে আরও তদন্ত হবে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, বিপন্ন প্রাণী তক্ষক ধরে বড় অঙ্কের টাকায় বিক্রি ও পাচারের নামে পার্বত্য জেলায় ও চট্টগ্রামে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চলছে অনেকদিন ধরে। এ নিয়ে বিরোধে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। চোরাশিকারিদের নির্বিচারে তক্ষক ধরার ঘটনাও পত্রপত্রিকায় এসেছে।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন