বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিতে ভোট শুরু

March 9, 2024 | 8:41 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা: মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোট শুরু হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে। একই সঙ্গে ময়মনসিংহেও শুরু হয়েছে দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন। মেয়র ছাড়াও ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটররা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় একযোগে দুই সিটিতে ভোট শুরু হয়েছে। সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

২০২২ সালের ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে জয় পেয়েছিলেন আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ পদটি শূন্য ঘোষণা করে। পরে ২৩ জানুয়ারি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

মেয়র পদের এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন— সাবেক মেয়র বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু (প্রতীক দেয়াল ঘড়ি), কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি), মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসীন বাহার সূচনা (বাস) এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া প্রতীক)। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি।

বিজ্ঞাপন

এই সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। এর মাঝে পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন, হিজড়া ভোটার রয়েছেন দুজন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৬১৬টি, অস্থায়ী ভোটকক্ষ ২৪টি।

এদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন এই সিটির প্রথম মেয়র ইকরামুল হক টিটু। ঘড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনেও কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। তবে টিটুর বাইরে আরও তিন আওয়ামী লীগ নেতা বাকি তিন প্রার্থী হয়েছেন— এহতেশামুল আলম (ঘোড়া), অ্যাডভোকেট সাদেকুল খান মিল্কি টজু (হাতি) ও ড. রেজাউল হক (হরিণ)। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এই সিটিতে প্রার্থী করেছে শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডলকে।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। ভোটকক্ষ ৯৯০টি। ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

বিজ্ঞাপন

এই সিটিতে ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই ও আপিল শেষে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৫৮ জন। এর মধ্যে ৯ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে ৩৩ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪৯ জন। এর মধ্যে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কেবল ফরহাদ আলমের মনোনয়নপত্রই বৈধ হওয়ায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট হবে ৩২টি ওয়ার্ডে।

এদিকে ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ৬৯ জন। তাদের কারও মনোনয়নপত্রই যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়নি। তাদের কেউ প্রার্থিতাও প্রত্যাহার করেননি। ফলে ৬৯ জনের সবাইই ভোটের মাঠে লড়াই করছেন।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন