বিজ্ঞাপন

‘মুক্তিপণ না দিলে একে একে সবাইকে মেরে ফেলা হবে’

March 13, 2024 | 9:02 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নওগাঁ: ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই ২৩ নাবিকের একজন নওগাঁর এ এস এম সাইদুজ্জামান সাঈদ। এদিকে, জিম্মির খবর শোনার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাঈদের বাবা-মা। ছেলেকে ফেরত পেতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে সাইদুজ্জামান সাঈদের পরিবার জানতে পারে ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সেই জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে শহরের বাড়িতে গিয়ে সাইদুজ্জামান সাঈদের বাবা-মাকে ছেলের জন্য আর্তনাদ করতে দেখা যায়। এ সময় তার স্ত্রী জানান, মুক্তিপণ না দিলে নাকি একে একে সবাইকে মেরে ফেলা হবে।

এ এস এম সাইদুজ্জামান সাঈদ নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ-শাহী মসজিদ ফিশারি গেট এলাকার আব্দুল কায়েমের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়।

সাঈদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল কায়েম বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৩টার দিকে জানতে পারি, ছেলে যে জাহাজে রয়েছে সে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। তবে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। জলদস্যুরা প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তাদের দিচ্ছে। এরপর রাত ১০টার দিকে বউ মা’র সঙ্গে যোগাযোগ হয় ছেলের। তখন ঘরে বন্দি করে রাখার কথা জানান।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ‘জলদস্যুরা জাহাজটি তাদের জিম্মায় নিয়েছে। জাহাজের কাউকে কিছু করতে দিচ্ছে না বলে । এ খবর পাওয়ার পর থেকে সারারাত পরিবারের কেউ ঘুমাতে পারেনি। সারারাত আল্লাহর কাছে দোয়া-প্রার্থনা করেছি ছেলের জন্য। ঘুমবিহীন রজনী কাটিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

সাঈদের মা কোহিনুর বেগম বলেনম ‘এখন আল্লাহর ওপর ভরসা রাখছি আমরা। আল্লাহ যেন সুস্থভাবে আমার ছেলেসহ জাহাজের সবাইকে সবার মায়ের বুকে ভালো ভাবে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়াও আমরা প্রধানমন্ত্রী ও কোম্পানির কাছে অনুরোধ জানাব, তারা যেন খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়। মা হিসেবে এটাই আশা।’ এ সময় দেশবাসী সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান তিনি।

সাঈদের স্ত্রী মান্না তাহরিন বলেন, ‘সর্বশেষ গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়। তখন তিনি জানান, তারা সবাই ভালো আছেন। ইফতার করছেন এবং সবাইকে এক রুমে রাখা হয়েছে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে জাহাজের আরেকজন আমাকে ভয়েস মেসেজ দিয়ে জানান, সবাই ভালো আছেন। সেহরি খেয়ে সবাই এক রুমেই ঘুমাচ্ছেন। তবে মুক্তিপণ যত তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে তত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। মুক্তিপণ না দিলে একে একে সবাইকে মেরে ফেলা হবে। এটা শোনার পর আমরা আরও বেশি চিন্তায় আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একবছর বয়সী এক মেয়ে আছে। বাচ্চাটা অনেক ছোট, এখনো বুঝতে শিখেনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন, আমার স্বামীসহ জাহাজের সবাইকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনা হোক।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন