বিজ্ঞাপন

‘বান্দরবানের ঘটনা দেশের ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রকাশ’

April 7, 2024 | 11:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বান্দরবানের ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কত ভঙ্গুর তা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা এবং আন্দোলনে হতাহত নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহার প্রদান উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ সীমান্ত ভয়াবহভাবে আক্রান্ত, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গত দুই-তিন দিনে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাংক লুট হয়েছে, থানা আক্রমণ হয়েছে। কী দুর্ভাগ্য আমাদের- এখন পর্যন্ত সরকার বলতে পারছেন না যে, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অনেকে বলেছেন যে, মিয়ানমারের দিকে কট্টর সংগঠন। কেউ কেউ আবার বিরোধীদলের দিকে ইঙ্গিত করে বলছে যে, জঙ্গিরা এর সঙ্গে জড়িত।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘যখন কোনো কিছু করতে পারে না, তখন দোষ চাপাতে হয় জঙ্গি খুঁজে বের করে। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কত ভঙ্গুর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ভারতের সঙ্গে পানি সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেনি, মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারেনি। রাষ্ট্র পরিচালনায়ও সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এরা (সরকার) সব দিক দিয়ে ব্যর্থ। এরা জনগণকে পথ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে তারা পরিকল্পিতভাবে ধবংস করে দিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসের কবলে অভিযোগ পড়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নাই যে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। একটা মাত্র বাকি আছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), সেটার ওপরেও তারা হিংস্র রূপ ধারণ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ছাত্ররাজনীতির বিরোধী নই। আমরা ছাত্ররাজনীতি করে এসেছি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, তার আগে ভাষা আন্দোলন- সবকিছুই ছাত্ররা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের ছাত্রসংগঠন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’

তরুণ সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আর কতকাল তোমরা এভাবে নির্যাতিত হবে? আর কতকাল আমাদের এই দৃশ্য দেখতে হবে- মা তার ছেলের জন্য কাঁদছে, ছোট্ট শিশু তার বাবার কাঁদছে। আমাদের তো বয়স শেষের দিকে। এখন তো আমাদের রাস্তায় নেমে কাজ করা সম্ভব নয়। এখন যুবকদের, তরুণদের সেই প্রতিজ্ঞা নিয়ে আসতে হবে যে, আমরা দেশমাতৃকাকে মুক্ত করব, আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনব, দেশে সত্যিকারভাবে অন্যায়-অবিচার-টাকা পাচার বন্ধ করে সুশাসনের একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। আমরা সবাই দুঃখ-কষ্টের মধ্যে আছি। কিন্তু এই দুঃখ-কষ্টকে আমাদের শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। মানুষের জন্য আমরা সংগ্রাম করব, আন্দোলন করব, বিজয়কে ছিনিয়ে আনব।’

এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আনহ আখতার হোসেন, এ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ, এ্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা জামাল সেলিম, আসাদুজ্জামান চুন্ন, নূরে আলম ভুঁইয়া, শামীমুর রহমান শামীম, আবদুল মতিন খান, মো. হানিফ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শাম্মী আখতার প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন