বিজ্ঞাপন

যশোরে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও ৪০ ডিগ্রির নিচে নামেনি

April 21, 2024 | 7:32 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: বাতাসে আগুন ঝরছে। সকাল থেকে সূর্য লকলকে আগুনের শিখায় জ্বালিয়ে রেখেছিল যশোরের আকাশ। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) ১০টা বাজতে না বাজতেই তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর বেলা ১টার দিকে পৌঁছে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে। কাল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা আজ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রিতে। গত কয়েকদিন ধরে যশোরে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে নামছেই না। পাকা রাস্তায় চলার সময় মনে হচ্ছে, কেউ যেন আগুনর হলকা মারছে মুখে।

যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে ওঠানামা করছে। আজ দুপুর ৩টায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় হিট স্ট্রোক ও গরমের ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করণীয় নিয়ে ও সতর্ক থাকার পরার্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। মাইকিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরও।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে, যশোরের কৃষিজমির বেশিরভাগেই চাষ হয়েছে বোরো ধান। তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সকাল ১০টার আগেই মাঠের কাজ শেষ করতে এবং বিকেলে ফের কাজে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এক টানা দীর্ঘক্ষণ কাজ না করা ও ঘন ঘন পানি খাওয়া, মুখে পানির ঝাপটা দেওয়ার জন্যও বলা হচ্ছে মাইকিং ও সভা-সেমিনারে।

অতিরিক্ত রোদ ও গরম এড়াতে শহরের মানুষ পানি, জুস আখের রস ও বারবার লেবু পানি পান করছে। কেউ কেউ আবার গাছের ছায়ায় শরীর জিড়িয়ে নিচ্ছে। অনেকেই পুকুরের পানিতে গা ডুবাচ্ছে। এ ছাড়া, পাম্পের শীতল পানিতে গোসল করছে কিশোর ও যুবকরা।

বিজ্ঞাপন

লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। খুব প্রয়োজন না হলে রোদে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই সময়ে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগ। শিশু নারীসহ বিভিন্ন রোগে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আজ দুপুর পর্যন্ত ৭০৩ জন রোগী ছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩০ রোগী। যার মধ্যে ১২ জনই শিশু।

সারাবাংলা/পিটিএম/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন