বিজ্ঞাপন

কানাডায় শিখ নেতা নিজ্জার হত্যা: ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

May 4, 2024 | 8:55 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডায় শিখ সম্প্রদায়ের খলিস্তান আন্দোলনের নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। গত বছরের জুনে ভ্যানকুভার শহরতলীতে নিজ্জারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির খবরে বলা হয়, নিজ্জার ভারতের শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাব রাজ্যের প্রদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে আসছিলেন। প্রদেশটিকে স্বাধীন করে ‘খালিস্তান’ গঠনের আন্দোলনে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

শুক্রবার (৩ মে) কানাডা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট মনদীপ মুকের জানান, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সবাইকেই কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছেন তারা হলেন— করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানিয়েছে, হারদীপ সিংহ নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতার তিনজনের বাইরে আরও কেউ হত্যায় জড়িত কি না, সেটিও দেখছে পুলিশ। সে রকম কেউ থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন মনদীপ মুকের।

ভারতের পাঞ্জাব মূলত শিখ অধ্যুষিত রাজ্য। এর বাইরে শিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করেন কানাডায়। এই শিখরা স্বাধীন রাষ্ট্র খলিস্তানের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কানাডাতেও তারা নিয়মিতই খলিস্তানের দাবিতে মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকেন। খলিস্তানের দাবিতে আন্দোলনরত তেমনই এক সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সের’ (কেটিএফ) প্রধান ছিলেন নিজ্জার।

এদিকে খলিস্তানের দাবিতে আন্দোলনকে ভারত সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসমূলক বলে অভিহিত করে আসছে। কানাডায় এ দাবিতে কর্মসূচি পালন নিয়েও ভারত সরকার ক্ষুব্ধ ছিল দেশটির ওপর। পাশাপাশি নিজ্জারের বিরুদ্ধে ভারতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও ছিল ভারতের।

বিজ্ঞাপন

নিজ্জারকে গত ১৮ জুন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পাঞ্জাবি অধ্যুষিত শিখদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের পার্কিংয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, খোদ ভারত সরকারও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। ভারত সরকার সে অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে ট্রুডোর এমন অভিযোগের পর ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন