বিজ্ঞাপন

গাছকাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করতে হাইকোর্টের রুল

May 7, 2024 | 6:17 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গাছকাটা নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে সাত দিনের মধ্যে পরিবেশ বিজ্ঞানী, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে সাত সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে সারাদেশে গাছকাটা বন্ধে (ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ ব্যতীত) ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল, নাছরিন সুলতানা এবং সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল হক।

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিক তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে গরম অত্যাধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদকে আদালতে নজরে এনে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) গত ৫ মে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং রিপন বাড়ৈ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সড়ক সচিব; সড়ক বিভাগের সাধারণ পরিবেশ বিভাগের পরিচালক; ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বিবাদী করা হয়।

রিট পিটিশনটি দায়েরের পর গতকাল (৬ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন (৭ মে) ধার্য করেন। এদিন আদালতে বিষয়টির ওপরে ফের শুনানি হয়।

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রাক্কালে এবং সরকারের অঙ্গীকার পরিবেশ রক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যত্রতত্র গাছকাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গাছকাটার মহোৎসব চলছে।’

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানিতে আরও বলেন, ‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ফলে মানুষের সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি বিষয়ে রুল জারি করেছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন