বিজ্ঞাপন

পিএসজির স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বুরুশিয়া

May 8, 2024 | 2:54 am

স্পোর্টস ডেস্ক

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে খাতা কলমে যোজন যোজন পিছিয়ে ছিল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রতিপক্ষ দলে কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকা ছিলেন। তবে সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজিকে করতে দেয়নি একটি গোলও। দুই লেগেই যথাক্রমে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করেছে বুরুশিয়া।

বিজ্ঞাপন

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়ের পর পিএসজির মাঠেও ১-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রথম লেগে নিকলস ফুলক্রুগের গোলে জয় লাভ করেছিল বুরুশিয়া। আর দ্বিতীয় লেগে পিএসজির মাঠে ম্যাট হামেলস করা গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জার্মান ক্লাবটি।

শেষবার ২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছিল ডর্টমুন্ড। সেবার ফাইনালে বায়ার্নের কাছে হেরে শিরোপা ছোঁয়া হয়নি তাদের। এবার প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করা ডর্টমুন্ডের অপেক্ষা প্রতিপক্ষ কে হবে তা নিয়ে। আর ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় নিজেদের একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ১৯৯৭ সালে, মিউনিখের ফাইনালে জুভেন্টাসকে হারিয়ে। দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে বায়ার্ন অথবা রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড।

মঙ্গলবার পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের প্রচেষ্টায় ডর্টমুন্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল পিএসজি। কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারা। কখনও বল দিকভ্রষ্ট হয়েছে, আবার গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল বাধা হয়ে দাঁড়ান। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রসবার হতাশায় ভাসিয়েছে তাদের। চারবার তাদের শট লাগে ক্রসবারে। অন্যদিকে ডর্টমুন্ড তিনটি পরিষ্কার সুযোগের একটি কাজে লাগিয়ে জয় আদায় করে নিয়েছে। ৫০ মিনিটে জুলিয়ান ব্র্যান্ডটের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেড করে জাল কাঁপান ম্যাট হামেলস। তাতেই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

বিজ্ঞাপন

পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য জোর চেষ্টা চালায় পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন এমবাপে-হাকিমিরা। ৬১ মিনিটে আরেকবার পোস্ট বাঁধা হয়ে দাড়ালে হতাশা বাড়ে পিএসজি শিবিরে। বক্সের বাইরে থেকে নুনো মেন্দেসের জোরাল শট সাইড পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।

তার আগে প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আদেইয়েমির দারুণ প্রচেষ্টা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন পিএসজি গোলোরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা। এর দুই মিনিট আগে এমবাপে পায়ের কাজ দেখিয়ে বক্সের ডানপ্রান্তে বল বাড়ান। উসমান দেম্বেলের শট কাছের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে গনসালো রামোস, নুনো মেন্দেস, ভিতিনহাকে হতাশ করে ক্রসবার। শেষ পর্যন্ত হামেলসের ওই গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন