বিজ্ঞাপন

ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ঠেকাতে গিয়ে ২ পুলিশ সদস্য আহত

May 8, 2024 | 6:29 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মুন্সিগঞ্জ: গজারিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু ও তার লোকজন। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন কয়েকজন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ মে) দুপুরে হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন ও মো. শামীম। এছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অভিযুক্তি মনিরুল হক হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট চলছিল। কেন্দ্রে মনিরুল হক মিঠু ও তার লোকজন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে মনিরুল হক লোকজন নিয়ে ওই কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে আনারস প্রতীকে সিল মারে। এতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ভোট গ্রহন শুরু হলে পুনরায় কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করে তারা।

বিজ্ঞাপন

এসময় ওই কেন্দ্রের দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদিউজ্জামান এলে তার গাড়িও ভাঙচুর করে মনিরুলের লোকজন। পুলিশের সঙ্গে মনিরুল ও তার লোকজনের কয়েক দফা গোলাগুলি হয়। এতে বেশ পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আড়াইটার দিকে কিছু লোক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় আধা ঘণ্টার মতো ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে আবার ভোট শুরু হয়।’

সংঘর্ষ ও গোলাগুলি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি কেন্দ্রের বাইরে হয়েছে। এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি জানান, কোনো হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গজারিয়া থানার ওসি রাজীব খানসহ কয়েকজন পুলিশ কাপ-পিরিচের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমদ খান জিন্নার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়েছে। তারা আমাদের সমর্থক ও লোকজনকে আনারস প্রতীকে ভোট দিতে দিচ্ছিলেন না। এতে ভোটাররা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে। আমাদের লোকজন আহত হয়েছে।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজিব খান বলেন, ‘দুপুরের ঘটনার পরে দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয়েছিল। ওই পথ ধরে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদিউজ্জামান স্যার গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় চেয়ারম্যান মনিরুলের লোকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে স্যারের গাড়িতে হামলা চালায়। আমরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করি। তাদের হামলায় আমাদের দুজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

এদিকে আজ সকালে ভোট চলাকালে ভোটকেন্দ্রের বাইরে এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করে মনিরুল হকের লোকজন। সে সময় সময় ছবি ও ভিডিও করায় দৈনিক মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ও মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি গোলজার হোসেনের ফোন, আইডি ও পর্যবেক্ষক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মনিরুল হকসহ ১৮ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ করেছেন গোলজার হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন