বিজ্ঞাপন

সংসদে ৫৪তম বাজেট পেশ ৬ জুন

May 9, 2024 | 10:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে আগামী ৬ জুন (বৃহস্পতিবার)। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করবেন। বাজেট উপস্থাপনে তাকে সহায়তা করবেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

বিজ্ঞাপন

এটি হবে বর্তমান অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৬তম বাজেটও এটি। বাংলাদেশের এটি ৫৪তম বাজেট।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫৩টি বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এই ৫৩টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন ১২ জন ব্যক্তি। এর মধ্যে রয়েছেন একজন রাষ্ট্রপতি, ৯ জন অর্থমন্ত্রী ও দুজন অর্থ উপদেষ্টা।

স্বাধীনতার পর ১৯৯৭২ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ৭৮৬ কোটি টাকার প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেন। ৫২ বছর পর এসে আগামী ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দেশের ৫৪তম বাজেট উপস্থাপন করবেন, যার সম্ভাব্য আকার আট লাখ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেটটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। পাশাপাশি এবারের বাজেট হবে ব্যয় সংকোচনমূলক। এটি তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। প্রতি বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি সংকোচনমূলক ধরেই এবারের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে বাজেটের আকার এবার খুব বেশি বাড়ছে না।

মন্ত্রণালয় সূত্র আরও বলছে, চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃচ্ছ্রতা সাধন ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ সহায়তার শর্তপূরণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। ফলে এবারের বাজেটের আকার আশানুরূপ বাড়ছে না। আগামী বাজেটের প্রস্তাবিত সম্ভাব্য আকার হচ্ছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আগামী বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সূত্রমতে, প্রতিবছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি ১০ থেকে ১২ শতাংশ ধরেই প্রাক্কলন করা হয়। এবার সেটি থাকবে ৫ শতাংশেরও নিচে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে রাজস্ব আদায় না হওয়া, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া এবং আমদানি-রফতানি পরিস্থিতি আশানুরূপ ভালো না হওয়ায় বাজেটের আকার তেমন বাড়ছে না। আসন্ন বাজেটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আর্থিক নীতির সঙ্গে রাজস্ব নীতির সমন্বয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নতুন বাজেটে সম্ভাব্য মোট আয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি পূরণে বিদেশি সহায়তা আর ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ কোটি টাকা। বাকিটা অভ্যন্তরীণ উৎস (ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য) থেকে ঋণ নিয়ে পূরণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধনে চলতি বাজেটে গাড়ি কেনা, ভূমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে। চাহিদার দিক থেকে অনেক কিছু হ্রাস করা হচ্ছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঠিক রাখতে গিয়ে টিসিবি ও ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হতে পারে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন