বিজ্ঞাপন

ফ্ল্যাটে এমপি আনোয়ারুলের লাশ পাওয়া যায়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

May 22, 2024 | 7:58 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা গিয়ে খুন হয়েছেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তবে কলকাতার বিধাননগরের যে ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে গিয়ে কলকাতা পুলিশ তার মরদেহ পায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের বরাতে এ তথ্য দেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত দুঃখজনক, মর্মান্তিক ও অনভিপ্রেত। যে ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কলকাতা পুলিশ সেখানে ঢুকেছিল। কোনো লাশ সেখানে তারা পায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এবং জড়িত কয়েকজনকে ডিবি (ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা) গ্রেফতার করেছে। কলকাতা পুলিশও দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

আরও পড়ুন- ঝিনাইদহের এমপি পরিকল্পিত খুনের শিকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানাবে। তবে আমরাও আমাদের মিশনের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখছি। আমাদের মিশন কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। আমাদের প্রান্ত থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সুতরাং বিষয়টি তদন্তাধীন। এর চেয়ে বেশি আপাতত কিছু বলার নেই।

এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার একটি বাসায় ‘পরিকল্পিতভাবে খুন’ করা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্যে দেশে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল গত ১১ মে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলকাতায় বন্ধু বরাহনগরের সোনা ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। তবে ১৬ মে থেকে আর তার সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ঝিনাইদহের নিখোঁজ এমপি কলকাতায় কলকাতায় খুন!

আনোয়ারুলের কোনো খোঁজ না পেয়ে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। সেখানে বলা হয়, ১৩ মে দুপুরে ওই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি আনোয়ারুল। তবে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আসা এক বার্তায় বলা হয়, দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। আনোয়ারুলের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিনও ঢাকায় ডিবি দফতরে যোগাযোগ করে তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন।

এর মধ্যেই বুধবার সকালে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, শহরটিতে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল খুন হয়েছেন। কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন নামের বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মরদেহ নিয়ে কলকাতা বা বাংলাদেশ পুলিশ কিছু জানায়নি এখনো।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন