বিজ্ঞাপন

‘সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন’

June 16, 2024 | 5:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো কারও সঙ্গে নতজানু আচরণ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- ‘নতজানু সরকার মিয়ানমার ইস্যুতেও কথা বলতে ভয় পাচ্ছে’

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা ইস্যু নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখেছেন। তিনি কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশলের বাইরে গিয়ে এমন কথা বলেছেন, যা শুনে মনে হয় পরিস্থিতি নিয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলার আগেই আমি বলেছি— সরকার এখানে নিষ্ক্রিয় নয়। আক্রান্ত হলে পাল্টা আক্রমণে প্রস্তুত আছে সরকার। সেখান থেকে যুদ্ধ জাহাজ এরই মধ্য প্রত্যাহার হয়েছে। নৌ যান চলাচল নিয়মিত হয়ে গেছে, যাওয়া-আসা করছে। আমরা গায়ে পড়ে ঝগড়া করব না।

‘মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই— এখানে উসকানি দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধাব? সারা বিশ্ব রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায় সরকার। রোহিঙ্গারা যখন দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল, ওই দিক থেকে তখনো কিছু উসকানি ছিল। আমরা উসকানিতে পা দেইনি। গায়ে পড়ে যুদ্ধ বাঁধানোর ইচ্ছে নেই। আলাপ-আলোচনার দরজা সবসময় খোলা আছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী শেখ হাসিনার সরকার। ভিশনারি লিডার শেখ হাসিনা জানেন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়,’— বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন দখল হয়ে যাচ্ছে— বিএনপি-জামায়াত এসব গুজব ছড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সরকার দলীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, কয়েকদিন আগে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়েও বিএনপি বেহুদা মন্তব্য করেছিল। এখনো তারা সেটাই করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা সতর্ক আছে। সেন্টমার্টিন সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও আমরা সতর্ক আছি। আর সেন্টমার্টিনে গুলিটা আরাকানরা করেছে, মিয়ানমার সরকার করেনি।

সেন্টমার্টিন সীমান্তে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি এবং গুলির পেছনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠনে কোনো বিদেশি ইন্ধন আছে কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ রকম সন্দেহের কথা বলেছেন। সেটা অমূলক নয়। সে রকম কিছু থাকতে পারে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আমরা খতিয়ে দেখব। পাশাপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট নিয়েও আমরা আলোচনা করতে পারি। কিন্তু তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটে আমাদের এখানে উসকানি কেন? আলোচনার দরজা খোলা। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ চলমান।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশের ওপর বোঝা হয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রথম বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েছিল বিএনপি সরকার। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে আছে। তাদের ফিরে যেতেই হবে। সে প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমরা নতজানু আচরণ কখনো করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থতার মূল দায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কারও কোনো মতামত ছাড়াই কাউকে পদায়ন করছে, কাউকে বাদ দিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চায় বিএনপি কতটা উদাসীন, তাদের কতটা অনীহা— সবকিছু প্রমাণ হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন