বিজ্ঞাপন

পুকুরে তল্লাশি করে ব্যাংক কর্মকর্তা খুনে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার

May 31, 2018 | 8:46 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে তার বাসার ভেতর জবাইয়ের পর ব্যবহৃত ছোরা এবং ব্যাংকের চাবি পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে পুকুরে তল্লাশি করে ছোরাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পাওয়া যায়নি চাবি।

বৃহস্পতিবার (৩১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকায় হাজী শামসুল হকের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় ছোরাটি। এ সময় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা সেখানে ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সদীপ কুমার দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছোরাটি পুকুরে পাওয়া গেছে। তবে ব্যাংকের ক্যাশের যে চাবি আসামিরা ওই বাসা থেকে নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো তোড়া থেকে খুলে আলাদা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সেগুলো পাওয়া সম্ভব নয়।’

বিজ্ঞাপন

গত ২৭ মে সকাল ১১ টার দিকে নগরীর বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকায় বাসা থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা সজল নন্দীর (৪৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সজল নগরীর সল্টগোলা এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত রুপালী ব্যাংকের শাখায় ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩১ মে) ভোরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হল-নগরীর একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র প্রতীক মজুমদার (১৬), সদ্য এসএসসি পাশ করা জিকু বড়ুয়া (১৭) এবং এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জয় বড়ুয়া চৌধুরী (১৯)।

পিবিআই পরিদর্শক সদীপ জানান, সজলের ছেলে সৈকত নন্দী এবং প্রতীক মজুমদার একই স্কুলে একই ক্লাসে পড়ার সুবাদে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সম্প্রতি সজল নন্দী গৃহনির্মাণ বাবদ ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ টাকা ঋণ পান। সৈকত একদিন কথাচ্ছলে বিষয়টি প্রতীককে জানায়।

বিজ্ঞাপন

এরপর প্রতীক বিষয়টি জয় ও জিকুকে জানায়। তারপর তিনজন মিলে সেই ২৯ লাখ টাকা লুটের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসা থেকে সজলের স্ত্রী রুমা নন্দী কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে যাবার পর প্রতীক, জয় ও জিকু ওই বাসায় যায়। এ সময় তারা সৈকতের সাইকেল কেনার কথা বললে সজল বিশ্বাস করে তাদের বাসায় ঢুকতে দেন। তবে সৈকত বাসায় ছিল না।

এ সময় সাইকেলের বিষয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সজলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করেন তারা। তখন জিকু সজলের মাথায় তালা দিয়ে আঘাত করেন। সজল চিৎকার দেন। প্রতীক মুখ চেপে ধরেন। জিকু ও জয় মিলে গামছা দিয়ে সজলের পা বেঁধে ফেলে। এরপর জয় ছোরা দিয়ে সজলকে গলা কেটে হত্যা করে।

এরপর তিনজন মিলে সজলের পকেট থেকে চাবি বের করে আলমারি খুলে ২৯ লাখ টাকা খুঁজে। কিন্তু না পেয়ে ছোরা ও চাবি নিয়ে চলে যায়।

পিবিআই পরিদর্শক সদীপ বলেন, সজল নন্দী ঋণ পেয়েছিলেন। তবে সেই টাকা তিনি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেননি।

বিজ্ঞাপন

সজল নন্দী বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠ্যপুরা গ্রামে।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন