বিজ্ঞাপন

‘অল আর বোগাস’

September 6, 2018 | 2:38 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রধান আ স ম আবদুর রবের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক মোর্চার দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘অল আর বোগাস’।

বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকটির ২০১৭ সালের লভ্যাংশ ছয় কোটি ২৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন অর্থমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এসময় সারাবাংলার পক্ষ থেকে নতুন রাজনৈতিক মোর্চা যুক্তফ্রন্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, ড. কামাল, বি চৌধুরী, আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নারা চাইছেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। তারা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এ বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের দাবি যুক্তিযুক্ত নয়। ২০০৮ সালে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। তখন সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। নির্বাচনের সিস্টেমসহ সবকিছু এখনও ভালো। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে একটি দল অংশ নেয়নি, নির্বাচন হয়েছে। তারা তো কোনো মামলাও করেনি। অল আর বোগাস।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি আর নির্বাচন করছি না। আমার আসনে আমার ভাইয়ের জন্য মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সুপারিশ করব।

বিজ্ঞাপন

আগামী ডিসেম্বর মাসে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনী সরকারে থাকব কি না, জানি না। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনকালীন সরকার কবে হবে, সেটাও প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। এই সরকারের বিষয়ে যে ঘোষণাটি আগে দিয়েছিলাম, সেটি ছিল আমার মতামত।

এ সময় আলোচনায় ড. ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘ইউনূস সাহেবকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে আমেরিকার চোখে বাংলাদেশ এখনও কালো তালিকাভুক্ত। রাশিয়ার কাছেও তাই। গ্রামীণ ব্যাংকে ইউনূস সাহেবের সময় মানুষ টাকা নিয়ে মুরগির ব্যাবসা, হাঁসের ব্যবসা ইত্যাদি করত। আর ইউনূস সাহেব দেশে ২৩টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের অবকাঠামো পরিবর্তনের ফলে যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা করত, তারা এখন বড় ব্যবসা করছে। তাদের এখন এন্টারপ্রাইজ আছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন