বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি আজ

February 24, 2018 | 10:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি হবে আজ রোববার। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হবে হাইকোর্টে। একই দিন বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে জিয়া  চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।

কারা অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান সারাবাংলাকে জানান, খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরার বিষয়ে কোনো কাগজ তাদের হাতে আসেনি। এ অবস্থায় আজ রোববার তাকে আাদালতে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জানান, আজ (রোববার) দুইটায় হাইকোর্টে জিয়া অরফানেজ মামলায় জামিন শুনানি হবে। আর সকালে বিশেষ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের দিন ঠিক করা আছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, হাইকোর্টে জামিন শুনানি যথা সময়ে হলেও বিচারিক আদালতে যুক্তি উপস্থাপন নাও হতে পারে। কেন না আইন অনুযায়ী আসামির উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। সে হিসেবে আজ বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা না হলে তারিখ পেছাবে।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী জেলে থাকা কোনো আসামিকে আদালতে হাজির করতে হলে কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পাঠাতে হয়। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া জামিনে আছেন কিন্তু অন্য মামলায় তিনি জেলে আছেন। এ অবস্থায় তাকে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পাঠাতে হবে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে আবেদন করা হবে বলেও জানান এই আইনজীবী। আর এরপরই আদালত যে দিন ঠিক করবেন সেই দিনই খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করবেন তারা।

বিজ্ঞাপন

গত ১ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী আমিনুল ইসলামের যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।

এর আগে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার যুক্তি উপস্থাপন করেন।

যুক্তিতে আইনজীবী কাজল বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদ গোপন করে ট্রাস্ট করেন। আর এই ট্রাস্ট করে তিনি একটা ব্যাংক হিসাব খোলেন সেখানে পদের পরিচয় গোপন করে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকাসহ ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা তিনি বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধভাবে সংগ্রহ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর পদ অপব্যবহার করেছেন জানিয়ে আদালতের কাছে খালেদা জিয়ার সাত বছর কারাদণ্ড প্রার্থনা করেন প্রসিকিউশন পক্ষের এ আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)।

পরে ২০১২ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তাদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক আছেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

আরও পড়ুন:

সোমবার বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

* বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিতে পুলিশের জলকামান

বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ : ফখরুল

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন