January 9, 2019 | 2:37 pm
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বার্লিন ইন্টারন্যশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ একটি আসর। এই উৎসবে শুধু অ্যাওয়ার্ডই দেয়া হয় না বরং আরও অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করে কমিটি।
এই শাখাগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘বার্লিনাল ট্যালেন্টস’। বার্লিন ইন্টারন্যশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের একটি প্ল্যাটফর্ম এটি। যেখানে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের ২৫০ চলচ্চিত্র কর্মী একত্ত্রিত হন বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং একে অন্যের কাজকে আরও উন্নত করার জন্য। এবার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২৫২।
দেশের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা আরিফুর রহমান জানালেন, পৃথিবীর যে কোনো চলচ্চিত্র ইন্সটিটিউটের চেয়ে বার্লিনালে সুযোগ পাওয়া কঠিন।
নতুন বছরে অনেক কঠিন এই প্ল্যাটফর্মে সুযোগ পেয়েছেন দেশের নির্মাতা হুমাইরা বিলকিস এবং সিনেমাটোগ্রাফার বরকত হোসেইন পলাশ। পলাশ আলোচিত ছবি ‘জালালের গল্প’-এ সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন।
বার্লিনাল ট্যালেন্ট মূলত ওয়ার্কশপের মতো। এখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রজেক্ট নিয়ে যান এবং সেই প্রজেক্টগুলোকে বিভিন্ন দিক থেকে উন্নত করতে একসঙ্গে অনেকে মিলে কাজ করেন। শুধু পরিচালক নন, এই ওয়ার্কশপে অংশ নেন চলচ্চিত্রের টেকনিক্যাল মানুষজন, এমনকি প্রযোজকরাও।
এ প্রসঙ্গে বার্লিনাল ট্যালেন্টে ডাক পাওয়া হুমাইরা বিলকিস সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি আমার প্রজেক্ট ‘‘বিলকিস অ্যান্ড বিলকিস’’ নিয়ে সেখানে যাচ্ছি। বার্লিনাল ট্যালেন্টের একটি অংশ হলো ডক স্টেশন। বার্লিনাল দশটি তথ্যচিত্র নির্বাচন করেছে, তার মধ্যে আমারটা একটা। সাতদিন বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের ট্রেনিং হবে। একদম শেষে আমরা আমাদের প্রজেক্ট পিচ করব। এটা একটা বড় সুযোগ।’
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বার্লিনাল ট্যালেন্টসের যাত্রা। সেখানে অংশ নিতে প্রস্তুত বরকত হোসেইন পলাশ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘মোট ১৩ জন সিনেমাটোগ্রাফার অংশ নিচ্ছে এখানে। বার্লিনাল ট্যালেন্টসে একজন সিনেমাটোগ্রাফারের সুযোগ পেতে তার কাজ ভোলো ভালো চলচ্চিত্র উৎসবের প্রদর্শিত হতে। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে আমার ছবি ‘জালালের গল্প’ এবং ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ বার্লিনাল ট্যালেন্টসে সুযোগ পেতে সাহায্য করেছে। আমাদের সেখানে ওয়ার্কসপ হবে। ক্যামেরার কাজের পরিধি নিয়ে অনেক আলোচনা হবে। নতুন অনেক প্রযুক্তি নিয়ে আমরা জানতে পারব।’
এর আগে দেশের দুজন চলচ্চিত্র পরিচালক বার্লিনাল ট্যালেন্টসে সুযোগ পেয়েছেন।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম