বিজ্ঞাপন

মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

February 27, 2019 | 7:37 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের মাদক প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিকেল পৌনে ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জঙ্গি দমনে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ঠিক একইভাবে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে একটা সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই। বদঅভ্যাস থেকে যুব সমাজকে মুক্তি করার ব্যবস্থা নিয়েছি। মানুষকে মাদক থেকে মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।

বিজ্ঞাপন

মাহফুজুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্ন
চট্টগ্রাম-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান সম্পূরক প্রশ্ন করেন, বর্তমানে যেসব মাদক বিক্রেতারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের সংশোধিত হওয়ার জন্য কোনো নীতিমালা বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না?

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকবিরোধী কর্মসূচি নেওয়ার ফলে এখন অনেকের মাঝেই একটা উপলব্ধি এসেছে- মাদকাসক্তি, মাদক বিক্রি, মাদক পরিবহন করা একটা অপরাধ। এই অপরাধ সম্পর্কে জনগণ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। মাদক বিক্রেতাদের অনেকেই আত্মসমর্পণ করছে। যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের মধ্যে মাদকাসক্তদের আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। তাদের কাউন্সিলিং’র ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের পরিবারকেও সহায়তা করা হচ্ছে।

যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের আমরা আর্থিক সহায়তা দেবো। ইতোমধ্যে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। আর্থিক সহায়তা নিয়ে তারা যেন নতুন অন্য ব্যবসা-বাণিজ্য করে ভালোভাবে চলতে পারে, সে ব্যবস্থাটা করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

 

সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান
এ সময় মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য শিক্ষক, অভিভাবক, ইমাম ও অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে সন্তান কার সঙ্গে মেশে? কোথায় যায়? আমাদের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আমাদের প্রশাসন সকলেই এ ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর।

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সংসদ নেতা বলেন, ‘‘যারা এখানে উপস্থিত আছে বা যারা নেই, সকল সংসদ সদস্যকেই বলবো- যার যার নিজেদের এলাকা যেন মাদকমুক্ত থাকে।”

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ বিশেষ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং চোরাচালান বন্ধ করতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন (মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮) করেছি। সেখানে মাদক বিক্রেতা, পাচারকারী, চোরাচালানকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সারাবাংলা/এনআর/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন