বিজ্ঞাপন

যে কারণে তাবলিগ জামাতে দ্বন্দ্ব

January 10, 2018 | 8:29 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় চার বছর ধরে দ্বন্দ্ব থাকলেও এবার বিরোধিতার কেন্দ্রবিন্দু তাবলিগের শূরা সদস্য ভারতের মাওলানা সা’দ কান্ধলভি। তিনি তাবলিগ জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি।

বুধবার বিশ্ব ইজতেমা-২০১৮ তে অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশে আসেন। তার উপস্থিতির বিরোধিতা করে বিক্ষোভ গড়ায় রাজপথে।

তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ তাবলিগ জামাত পরিচালনা কমিটির শূরা সদস্য ১১ জন। এর মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং ছিল। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে এর আগেও দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। তবে দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি ঘোলাটে হয় মাওলানা সা’দ কিছু ফতোয়া দেওয়া পর থেকেই। এরপর মাওলানা জুবায়েরের পক্ষে অবস্থান নেয় কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

তাবলিগ জামাতের জুবায়ের গ্রুপের অভিযোগ মাওলানা সা’দ ফতোয়া দিয়েছেন, স্মার্টফোন সঙ্গে থাকলে নামাজ হবে না। কারণ স্মার্টফোনে নানা ধরনের মানুষের ছবি থাকে। আর ছবি সঙ্গে থাকলে নামাজ হয় না।

সূত্র জানায়, মাওলানা সা’দ মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আরবি শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেওয়া হারাম। মূলত এমন ফতোয়ার পরেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়।

এছাড়াও গত নভেম্বরে পাকিস্তানে তাবলিগ জামাতের এক আয়োজনে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের মজলিশে শূরা সদস্য ও ফায়সাল (আমির) সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জুবায়ের সেখানে যান। দেশে ফেরার পর তাকে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে বলা হয়। কিন্তু জুবায়ের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত না করে তথ্য গোপন করেন। এ নিয়েও ঝামেলা হয় দুই পক্ষের মধ্যে।

বিজ্ঞাপন

তাবলিগ জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর কাকরাইল মসজিদে ওয়াসিফুল ও জুবায়ের গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, এরপর হাতাহাতি হয়।

সারাবাংলা/এনএস/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন