বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা: নেতাকর্মীরা আসছেন বর্ণিল সাজে

July 21, 2018 | 12:22 pm

।। নৃপেন রায় ও মীর মেহেদী হাসান ।।

বিজ্ঞাপন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে আজ শনিবার (২১ জুলাই)। দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হলেও এই সংবর্ধনায় যোগ দিতে সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সংবর্ধনাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে।

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড়’ এই সংবর্ধনায় যোগ দিতে এরই মধ্যে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন ঢাকার ভেতর ও বাইরে থেকে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বর্ণিল উপস্থিতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকেও বর্ণিল করে তুলেছে।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবারের এই গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সন্তান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-ও এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে সম্মতি জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, সংবর্ধনাস্থলে  প্রবেশের মুখগুলো দিয়ে দলে দলে ঢুকছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। তাদের কোনো কোনো ইউনিটের নেতাকর্মীদের গায়ে লাল রঙের টি-শার্ট, কোনো কোনো ইউনিটের সবুজ বা হলুদ। দলীয় প্রধানের সংবর্ধনায় নিজেদের ইউনিটটি যেন একটু আলাদা করে চোখে পড়ে, তার চেষ্টায় কমতি নেই তাদের।

এর আগে, গত ৭ ‍জুলাই শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণার কথা জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে গত ১৯ জুন দলের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৭ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২১ জুলাই বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও ভারতের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার অনুষ্ঠান হবে আজ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি পরিদর্শন এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বড় গণসংবর্ধনা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা, রাষ্ট্রনায়ক, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সংবর্ধনা জনতার সমুদ্রে পরিণত হবে। সারাদেশের সব শাখাকে আমরা আমন্ত্রণ করিনি। তারপরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেতাকর্মী আসবে।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে সংবর্ধনা। এতে দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দনপত্র পাঠ ছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সংবর্ধনা উপলক্ষে এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সেখানে এরই মধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি স্টল। এগুলোতে শেখ হাসিনার শৈশব থেকে বর্তমান পর্যন্ত চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে; রাখা হয়েছে শেখ হাসিনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ। শেখ হাসিনার লেখা বইগুলোও থাকছে একটি স্টলে। সন্ধ্যার পর সর্বস্তরের জনগণের জন্য চিত্র প্রদর্শনী ও বুক স্টল উন্মুক্ত থাকবে।

এদিকে, জনসভাস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসার বিভিন্ন সড়কের রোড ডিভাইডার, ওভারব্রিজগুলো শেখ হাসিনার রঙিন ছবি, অর্জন, সাফল্য সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনে সজ্জিত করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে প্যান্ডেলের একদিকে ২০ হাজার, আরেকদিকে ১০ হাজারসহ মোট ৩০ হাজার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরেও গোটা উদ্যানজুড়ে কয়েক লাখ লোক সংবর্ধনায় অংশ নিতে পারবেন।

সরেজমিনে বেলা এগারটার দিকে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালি মন্দির গেট, বাংলা একাডেমী গেট, টিএসসি গেট, চারুকলা গেট দিয়ে মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীরা প্রবেশ করছে। বেলা এগারটায় আগেই থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। এরপর বেলা  ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রবেশপথগুলো খুলে দিলে নেতাকর্মী ভিতরে প্রবেশ শুরু করে। বিশেষ করে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা লাল সবুজ গেনজি ও ক্যাপ পরিহিতের কারণে সংবরধনাকে কালারফুল করে তুলেছে।

এছাড়াও বাদ্য বাজনা, ঢাক ঢোলসহ  শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংবর্ধনা সফলের লক্ষে যোগ দিচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশপথগুলোতে কঠোর তল্লাশির মাধ্যমে নেতাকর্মীরা ভিতরে প্রবেশ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশসহ শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

গণসংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে যানচলাচল নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় যানচলাচল সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে।

এতে বলা হয়, শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে বেলা ১টা থেকে সমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ থেকে মৎস ভবন ও টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকবে।

প্রয়োজনে বাংলামোটর, কাকরাইল চার্চ, ইউবিএল, জিরো পয়েন্ট, গোলাপ শাহ মাজার, চানখাঁর পুল, বকশী বাজার, পলাশী, নীলক্ষেত, কাঁটাবন ক্রসিং দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সাধারণ গাড়িগুলো ডাইভারশান করা হতে পারে। এছাড়াও গাড়ি পার্কিংর জন্য বিভিন্ন পয়েন্ট নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এনআর/এমএমএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন