ধীর গতিতে হলেও ভালো ভোট হয়েছে, ফল মেনে নেব: সাক্কু
১৫ জুন ২০২২ ১৮:৫৭
কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে ভোট ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। নির্বাচনে যে ফলই আসুক, মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাক্কু বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু দ্রুত ভোট দিতে পারেনি। তাই বলা যায় এবার নির্বাচনে ভোট হয়েছে ধীর গতিতে। অনেক কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ঠিকভাবে কাজ করেনি। তবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ভালো ভোট করেছে। ফলাফল যাই হোক না কেন, তা মেনে নেব।
বুধবার (১৫ জুন) নির্বাচন শেষে সারাবাংলাকে এ কথা বলেন মনিরুল হক সাক্কু। এসময় তিনি নির্বাচনের ফল তার পক্ষেই যাবে বলেও আশাবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ১৩ কেন্দ্রে সাক্কুর চেয়ে ১৪৪ ভোটে এগিয়ে রিফাত
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক ভোটার আসতে পারেননি। আবার অনেক কেন্দ্র থেকে মেশিন নষ্ট হওয়ার কারণে ফিরে গেছে ভোটার।
তিনি বলেন, আমার ধারণা ও বিশ্বাস— কারচুপি ছাড়া আমাকে কেউ হারাতে পারবে না। কুমিল্লাবাসী আমার ওপরে আস্থা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস। তবে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে নৌকার প্রার্থী বহিরাগত লোকদের জড়ো করে মহড়া করেছেন। তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার না। আর তাই আমি ফলাফলের অপেক্ষায় আছি।
আরও পড়ুন- ভোট শেষে কুমিল্লাজুড়ে একটাই প্রশ্ন— মেয়র হলেন কে?
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫টি কেন্দ্রে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হয়। ভোট শেষে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্র থেকে একীভূত ফলঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভোট শেষে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশের কম-বেশি (১-২ শতাংশ) ভোট পড়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পর পর্যন্তও ভোট চলছিল।
আরও পড়ুন- ইভিএম ত্রুটিতে ৪২ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ কুসিকের ৫ নং ওয়ার্ডে
এবারের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সদর দক্ষিণে ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৩২টি ভোটকেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এই কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখার কথাও জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কুসিকের তৃতীয় এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচ জন প্রার্থী। এর আগের দুই নির্বাচনেই মেয়র পদে ভোটে নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। এছাড়া এবারে কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।
আরও পড়ুন-
- নির্বাচনের পরিবেশ চমৎকার: রিফাত
- ‘যতক্ষণ ভোটার থাকবে ততক্ষণ ভোট’
- কুসিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকছে ৭ সংস্থা
- ‘কুসিকে বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তির আশঙ্কা’
- কুসিকে জালভোট-গোলযোগের চেষ্টা, ৬ জনের সাজা
- কায়সারের অভিযোগ— এজেন্ট থাকতে দিচ্ছে না কেন্দ্রে
- প্রশাসনের কেউ যেন ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করে: বাহার
- কুসিক নির্বাচনে ১৪৯ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে ভোটগ্রহণ শুরু
- কুসিকে যানচলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে অফিসগামী নাগরিকরা
- কুসিকে দুপুর পর্যন্ত ভোটে সন্তুষ্ট প্রার্থীরা, উল্লসিত ভোটাররাও
- কেন্দ্রের বাইরে কর্মীদের জটলা, ভেতরের গোপন কক্ষে ২ জন!
- ‘বৃষ্টি হলেই ঝুঁকি বাড়বে টেবিল ঘড়ির, ছুটতে পারে নৌকা ও ঘোড়া’
- রিফাত-কায়সার ভোট দেবেন ভিক্টোরিয়া স্কুলে, সাক্কু হোচ্ছা মিয়ায়
- পরিবেশ শান্তিপূর্ণ, বৃষ্টি থামলে আসবে ভোটাররা: মনিরুল হক সাক্কু
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন কুসিক নির্বাচন ফাইল ছবি মনিরুল হক সাক্কু