বিজ্ঞাপন

নির্বাচন নিয়ে ভয়ের কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের

January 1, 2018 | 5:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভয়ের কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, ‘আগামীতে ভালো একটা নির্বাচন হবে। সেটা যথা সময়েই হবে। বিএনপি যে আতঙ্ক-অনিশ্চয়তার কথা বলছে, সে সব কিছুই থাকবে না। একটা সুন্দর পরিবেশে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসবে। এ বার নির্বাচন না করে ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে এটা কেউ বিশ্বাস করে না।’

পদ্মা সেতুর কাজের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১৮ সালের টার্গেট দিয়েছি। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ নদী আমাজনের চেয়েও আনপ্রেডিকটেবল। ফলে আমাদের কিছু কাজ পিছিয়ে গেছে। আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল স্প্যান বসানো। হিসাব করে দেখেছি যথা সময়েই কাজ হয়ে যাবে, টার্গেট যথা সময়ে পূরণ হবে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম তবে কোয়ালিটির জন্য তা করেনি।’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনোনয়ন বোর্ড আছে। সেখান থেকে মনোনয়ন দেওয়ার আগে কেউ আমাদের পার্টির মনোনীত প্রার্থী এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে শিডিউল ঘোঘণার পর মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলতে পারেন একজন (ব্যবসায়ী নেতা) আতিকুল ইসলাম বলছেন তাকে প্রধানমন্ত্রী গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে জনমত যাচাই-বাছাই করে তার অবস্থান কী তা পরীক্ষা করতে বলতে পারেন। তবে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। মনোনয়ন তিনিই পাবেন যাকে নৌকা প্রতীক দেয়া হবে।’

ভারতের আসামে কথিত বাংলাদেশিদের তালিকা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের এটা ইন্টারন্যাল ব্যাপার, আমাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় হলে অবশ্যই বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানাব।’

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হবে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বছরটা নতুন, প্রত্যাশা পুরান। নতুন কোনো প্রত্যাশা নেই। এ প্রত্যাশা আগে থেকেই আছে তবে নতুন বছরে প্রত্যাশাটা বাড়তে পারে। কারণ চ্যালেঞ্জটা বেশি।’

সারাবাংলা/ জিএস/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন