বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণ সক্ষমতা বাড়ছে

October 11, 2018 | 8:57 am

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন (২য় পর্যায়)’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২ হাজার ৫৫১ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রকল্পটি। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেক ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-এর চট্টগ্রাম জোনের বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পুনবাসন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি, ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাবিউবোর চট্টগ্রাম জোনের গ্রাহকদেরকে নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ৪টি বিতরণ জোনের (চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) মধ্যে চট্টগ্রাম জোনে দেশের সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। দেশের অন্যতম আমদানি-রপ্তানি গেটওয়ে হিসেবে এ বন্দর এক অনন্য ভূমিকা রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান গতির পাশাপাশি এ অঞ্চলের উন্নয়ন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান উন্নত যোগাযোগ অবকাঠমো ও ভাল বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে দ্রুততার সাথে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প কারখানা স্থাপন, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ ইত্যাদি দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও এ জোনের আওতায় বেশ কয়েকটি ইপিজেড, ইকোনোমিক জোন, আইসিটি পার্ক, বিসিক শিল্প নগরী, বিমান বন্দর রয়েছে। এলএনজি টার্মিনাল ও টানেল নির্মাণসহ আরও ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম জোনে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এ জোনের আওতায় ৩৩/১১ কেভি লেবেলের বিদ্যুৎ বিতরণ ক্ষমতা ১ হাজার ১৩ মেগাওয়াট। তাছাড়া চলমান ২টি বিতরণ প্রকল্প ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে মোট ক্ষমতা দাঁড়াবে ১ হাজার ৭০৮ মেগাওয়াট।

এ জোনের আওতায় ৩৩/১১ কেভি ভোল্টেজ লেভেলের গ্রাহকদেও ক্ষেত্রে প্রতিবছর ১০ দশমিক ৩৫শতাংশ হারে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি নিয়ে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ চট্টগ্রাম জোনের সর্বোচ্চ চাহিদা বর্তমান ৮০৭ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২ হাজার ১০৫ মেগাওয়াট। ২০৩০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পিত এ ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিও জন্যই প্রকল্পটি অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য পরিকল্পনা পাঠানো হয়।

প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২০২২ সালের পর ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ক্ষমতা আরও ১ হাজার ১৯০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পেয়ে এই জোনের লোড ক্ষমতা ২ হাজার ৯০৮ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে, অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত সম্ভাব্য চাহিদা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গঠন করা একটি অভ্যন্তরীণ কমিটির মাধ্যমে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ২৫টি ৩৩/১১ কেভি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ করা, বিদ্যমান ৭টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রে নবায়ন ও আপগ্রেডেশন করা, নতুন ২ হাজার ৬১২ কিলোমিটার ৩৩ কেভি, বিদ্যমান ১ হাজার ৫৫৮ কিলোমিটার ৩৩ কেভি, ১১ কেভি, ১১/০৪ কেভি এবং পূর্ত নির্মাণ কাজ করা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে একনেকে জন্য তৈরি সার-সংক্ষেপে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম জোনের ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ১ হাজার ৪৮৮ এমভিএ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে এ বিভাগের আওতায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ৯টি উপজেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডেও আওতাধীন অঞ্চলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর উপযোগী অবকাঠামো সৃষ্টি হবে।’

সারাবাংলা/জেজে/এসআই

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন