বিজ্ঞাপন

সেই দুই ইনিংসই ভুলে যাচ্ছেন আরিফুল!

November 9, 2018 | 4:51 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে দলের চৌহদ্দিতে ঘোরাফেরা করছেন এই বছরের শুরু থেকেই। কিন্তু জায়গাটা পাকা করতে পারেননি এখনো। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ওয়ানডে দলে অনেকে সুযোগ পেলেও তার জায়গা হয়নি। টেস্ট সিরিজে অবশেষে সুযোগ পেয়েছেন, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্ধকার দুই রাতে যা একটু আলো ছড়িয়েছেন আরিফুল হকই।

প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল। পরের ইনিংসে পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮। অবশ্য অভিষেকের এই অর্জন এখনই ভুলে যাচ্ছেন তিনি। বরং সুযোগ পেলে পরের ম্যাচে ভালো কিছু করতে চান।

দুই ইনিংসে একমাত্র আরিফুলই উইকেটটা দিয়ে আসেননি। এমনকি তার ব্যাটিং দেখেও মনে হয়নি, প্রথম টেস্ট খেলছেন। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) মিরপুরে অনুশীলনের আগে বলেছেন, সিলেট টেস্ট থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন, ‘প্রথম টেস্ট ভালই গিয়েছে আসলে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বোলাররা বাজে বল দেবে না, ওভাবেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যেটা বোঝা দরকার…খেললে যে চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনে। সেটা আমার হয়েছে। চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে।’

বিজ্ঞাপন

তবে সাকিব আল হাসান দলে এলে তার জায়গা পড়ে যেতে পারে সংশয়ে। সেটা হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই। আরিফুল অবশ্য সব ভুলে তাকাতে চান সামনে, ‘এটা আমার হাতে নেই, কোন ম্যাচে আমি খেলবো কোন ম্যাচে খেলব না। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবো। নিজের কাজটা করে যাব কীভাবে ভাল করা যায়। রান করেছি, ওটা ভুলে গেছি। সামনে কীভাবে ভাল করা যায় সেটাই মূল ভাবনা।’

টেস্ট ক্রিকেট তার অনেক দিনের স্বপ্ন, তা আগেও বলেছেন। শুক্রবার বললেন আরও একবার, ‘আমার আসলে স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। আমি চাই যে দীর্ঘদিন টেস্ট খেলতে বা ন্যাশনাল টিমে থাকার জন্য। সব ফরম্যাটেই খেলার ইচ্ছা..আমার ইচ্ছা থাকে যে ফরম্যাটে যেভাবে খেলা দরকার ওভাবেই খেলার চেষ্টা করবো।’

এই বছর জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও খেলার সুযোগ তেমন হয়নি। তবে ড্রেসিংরুমের এই অভিজ্ঞতাও বড় করে দেখছেন আরিফুল, ‘ যদি নাও খেলেন জাতীয় দলে থাকলে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। বড় টিমের সাথে খেলা বা বড় বড় খেলোয়াড়দের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা এটাতে বুঝতে অনেক সুবিধা হয়। বড় ভাইরা যখন কিছু বলেন সেটা কাজে দেয়। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ কেমন বা কী রকম। ’

বিজ্ঞাপন

কিন্তু সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই শেষের দিকে কিছুটা সঙ্গ পেলে ফিফটি পেতে পারতেন। এই ব্যাপারটা কি আক্ষেপে পোড়ায় না তাকে। আরিফুল অবশ্য সঙ্গীদের দোষ দেখছেন না, ‘আমি বিসিএলে জাতীয় লিগে টেলএন্ডারদের নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যাটিং করি। ওই সময় প্ল্যান অন্যরকম থাকে। ৪টা বল খেলতে তাকে একটা-দু্টা বল দেয়ার থাকে। টেলএন্ডারদের কাছে ওভাবে আশাও করতে পারেন না। তারাও চেষ্টা করছিল আমাকে সুযোগ/স্ট্রাইক দেয়ার। ৪-৫টা বল হয়তো আমি খেলব। একটা-দুইটা তাদের দেব।’

পরের টেস্টে আরিফুল সেই সুযোগটা নিশ্চয় আরও ভালোমতো কাজে লাগাতে চাইবেন!

সারাবাংলা/এএম/এসএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন