বিজ্ঞাপন

নৌকা জেতাতে ‘হাতে হাত’ চট্টগ্রাম আ’লীগ নেতাদের

November 27, 2018 | 8:00 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জেতাতে সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া চার প্রার্থীর সঙ্গে হাতে হাত রেখে নগর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, যে কোনমূল্যে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করে আনবেন।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই ঘোষণা এসেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ নগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতারা।

বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌকা প্রতীকের চার প্রার্থী চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে জাসদ একাংশের নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের ডা.আফসারুল আমিন ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের এম এ লতিফ।

বিজ্ঞাপন

আফসারুল আমিন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং লতিফ সদস্য। মহানগর আওয়ামী লীগের কোন সভায় দুই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যেত না বলে সমালোচনা ছিল নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিভিন্ন সভায় নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ ও প্রকাশ করেছেন। তবে নির্বাচনের আগমুহূর্তের এই বর্ধিত সভায় নেতাদের কণ্ঠে ছিল না কোনো ধরনের ক্ষোভের প্রতিফলন।

বর্ধিত সভায় আ জ ম নাছির বলেন, চট্টগ্রাম নগরীসহ আশেপাশের মোট ছয়টি আসনে প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন তাকেই বিজয়ী করতে হবে। আল্লাহর ওয়াস্তে কোনো ধরনের বিরোধ রাখবেন না। নেতাদের কারণে বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের কেউ কেউ আমাদের ভুল বুঝে থাকতে পারেন। সব মতানৈক্য ভুলে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

মনোনয়ন পাওয়া নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাও নেতাকর্মীদের সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন, এই মনোভাব থাকতে হবে। তাহলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে উৎসাহিত হবেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বিজয়ের ভাগিদার সবাই হতে চায়। কিন্তু ব্যর্থতার ভাগ কেউ নিতে চায় না। মনের কথা বলছি। আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে চাই না, সম্মান ও মর্যাদা চাই। জীবনবাজি রেখে সব প্রার্থীকে জিতিয়ে আনব।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সবাই আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আপনারা আমার পিতৃতুল্য। আমি আপনাদের সন্তানের মতো। আমার সেই অর্থে কোনো রাজনৈতিক অর্জন নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা চট্টগ্রাম-৯ আসন নৌকাকে উপহার দিয়েছেন। এখন বিজয় পতাকা ‍উড়াতে হবে।

মাঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, আমরা যারা বয়স্ক হয়ে গেছি, আমাদের নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। এই নির্বাচন হচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব দিতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

সভায় আফসারুল আমিন ও এম এ লতিফ উভয়ই শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নৌকা প্রতীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

আফসারুল আমিন বলেন, ‘প্রত্যেক আসনের প্রার্থীরা একেকজন শেখ হাসিনার প্রতিচ্ছবি। শেখ হাসিনার জন্য এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, জহিরুল আলম দোভাষ ও ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপ-দফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারীসহ অন্যান্যরা।

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন