বিজ্ঞাপন

খালেদা-তারেকের ছবি পোস্টারে নয়, ইসিকে আ.লীগের অনুরোধ

December 21, 2018 | 9:30 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফটো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টারে যাতে ব্যবহার করা না সে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম এ কথা বলেন। এর আগে, বিকেল সোয়া থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সোয়া আটটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপি বৈঠকে এইচটি ইমামের নেতৃত্বাধীন আ.লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এইচটি ইমাম বলেন, ‘আমরা আইনের বিষয় মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। নির্বাচনের পোস্টারে শুধু নিজ দলের সভাপতির ছবি ব্যবহার করবে। এজন্য আ.লীগ শুধু শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও ব্যবহার করছে না। জাতীয় ঐকফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থীদের পোস্টারে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। খালেদা জিয়া যেহেতু কারাগারে ও বিএনপি চেয়ারপারসন নয়, তারেক জিয়া বর্তমান চেয়ারপারসন হলেও দণ্ডিত আসামি এবং পলাতক অবস্থায় আছেন। দণ্ডিত আসামি হওয়ায় এবং পলাতক থাকায় কোনোভাবেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানে ছবি ব্যবহার করতে পারার কথা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচনি প্রচারে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন। ভিডিও কনফারেন্সের সব সাপোর্ট দলীয়ভাবেই নেওয়া হয়। দল এবং সরকারের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কাজেই আওয়ামী লীগ নির্বাচন আচরণবিধি মেনেই নির্বাচন পরিচালনা করছে। অন্যদেরও আইন মেনে প্রচার চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের প্রার্থীরা বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ওয়েবসাইটে সেই প্রার্থীদের নাম, পদসহ উল্লেখ করা আছে। কাজেই তারা অসত্য তথ্য দিয়েছে। তাই তারা প্রার্থী হিসেবে থাকতে পারে না। আদালতও নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জামায়াতে সদস্য যারা ধানের শীষে প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমরা ১১৮টি নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে চারটি সংস্থা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি। এগুলো হলো-ডেমোক্রেসি ওয়াচ। যার প্রধান হচ্ছে শফির রহমানে স্ত্রী তালেয়া রহমান। খান ফাউন্ডেশন ড. আব্দুল মঈন খানের স্ত্রীর। বগুড়ার লাইট হাউজ তারেক রহমানের। আর আদিলুর রহমানে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদ। এরা সবাই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি যেন, নিরপেক্ষ সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিতে।’

এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সম্প্রতি অধিকার নামে একটি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এইচটি ইমাম বলেন, ‘অধিকার সংগঠনটিই আদিলুর রহমানের। সেটির নিবন্ধন বাতিল হলে এখন সে বাংলাদেশ মানবিকার পরিষদ চালাচ্ছে।’

লাঠির ওপর ধানের শীষ নিয়ে প্রচার কাজের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমদের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া আ.লীগের এই নেতা বলেন, ‘এতে যেকোনো ধরণের সংঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু বিএনপি নয়, যেকোনো দলেরই নির্বাচনি প্রচারে লাঠি বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন বস্তুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।’

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালকুদার বারবার কমিশনের সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করায় আ.লীগের কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আস্থাহীনতা আছে বলে মনে করি না। নির্বাচন কমিশন আদালতের মতো। সেখানে বিচারকরা যেমন নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারে, এখানে কমিশনাররাও নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতই গ্রহণযোগ্য হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন