বিজ্ঞাপন

দেশের জন্য আরও অবদান রাখুন, এনডিসি গ্র্যাজুয়েটদের রাষ্ট্রপতি

December 24, 2018 | 2:34 am

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে (এএফডব্লিউসি) অংশগ্রহণকারীদের দক্ষতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে আরও অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, আশা করি সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবেন।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে এনডিসি ও এএফডব্লিউ কোর্স ২০১৮-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সফলভাবে কোর্স শেষ করার জন্য কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকারকে সামনে রেখে আপনারা জনগণকে আরও বেশি সেবা দিতে পারবেন এবং দেশকে টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।’

আবদুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গঠনমূলক ভূমিকা রাখছে। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’— বঙ্গবন্ধুর এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্র নীতি পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাসী। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ কারণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকরেও পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত ও নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক অফিসারদের স্ট্র্যাটেজিক বিষয় ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কৌশলগত দিক সম্পর্কে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে অফিসাররা সামরিক ও বেসামরিক বিষয়ে নীতিগ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সুখ্যাতি এবং বহির্বিশ্বে এর সুপরিচিতি আমাদের জন্য সত্যিই একটি গর্বের বিষয়। এনডিসি’র শিক্ষা কার্যক্রমে অব্যাহত উঁচু মান এরই মধ্যে একে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। এ ছাড়াও দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নসহ জাতিসংঘ মিশনে অংশ নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

রাষ্ট্রপতি আশাবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই অংশীদারিত্ব সময়ের পরিক্রমায় আরও বলিষ্ঠ হবে। সশস্ত্র বাহিনী দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের উঁচুমান সর্বদা বজায় রাখবে।

বিজ্ঞাপন

বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বছরব্যাপী অবস্থানের সময় আপনারা যে মূল্যবান জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা ভবিষ্যতে আপনাদের আলোকিত করবে। এছাড়াও পেশাদারিত্বের সম্পর্ক ও নিয়মিত কর্মসূচির বাইরে উষ্ণ সামাজিক বন্ধন ও বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। আপনারা এখান থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়ে আপনারা বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর/এসএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন