বিজ্ঞাপন

সিভিল সার্জনদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

January 17, 2019 | 6:34 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হলে জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বের ওপর তার দায় বর্তাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দেশের সকল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ৬৪ জেলার  সিভিল সার্জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতাল বা জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বে যে কর্মকর্তাই থাকবেন তার দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর তত্ত্বাবধান করা। এই দায়িত্বে কোনো গাফিলতি বা শৈথিল্য মেনে নেওয়া যাবে না। যে কোনো সমস্যার দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি তিনি তাতে ব্যর্থ হন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বাধ্য হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে প্রতিদিনের নজরদারি আরও কঠোর করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মতো হাজির হচ্ছে কি না, যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, ওষুধের অপ্রতুলতা আছে কি না, পরিচ্ছন্নতা অভিযান সার্বক্ষণিক চলছে কি না তা তদারকির জন্য মনিটরিং নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দূর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবার মূল অবদান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। সারাদেশে বিস্তৃত স্বাস্থ্যখাতের এই সেবা পেয়ে থাকে কোটি কোটি মানুষ। একটা সরকারের সুনাম অনেকাংশে নির্ভর করে স্বাস্থ্য সেবার ওপর।’

সাধারণ মানুষকে যথাযথ মানসম্মত চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি গণমানুষের আস্থা আরও বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকদের প্রতি মন্ত্রী নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়করা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসক আছে কিনা তা দেখার পাশাপাশি রোগীরা তাদের প্রাপ্য সেবা যথাযথভাবে পাচ্ছে কি না তাও তদারকি করার মূল ব্যক্তি হাসপাতাল প্রধান বা সিভিল সার্জন ও পরিচালকরা। সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এই দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন