বিজ্ঞাপন

সোনালী স্বপ্নপূরণে জোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

January 31, 2019 | 7:25 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, সোনালী আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করে পাটচাষিদের সোনালী স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এজন্য পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাটখাত সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবিরোধী প্লাস্টিক-পলিথিন ব্যবহার বন্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে, দেশের পাটখাতের উন্নয়নে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার তার অভীষ্ট লক্ষে দীপ্তপদে অগ্রসরমান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পাটশিল্পে সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য যথা ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সার ইত্যাদি মোড়কের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন রফতনি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’

সভায় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন -২০১০’ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফের বিশেষ অভিযান পরিচালনা, পাটকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য হিসাবে স্বীকৃতি বাস্তবানের অগ্রগতি, যথাযথ বিবেচনা না নিয়ে আর কাঁচাপাট রফতানি বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

এসব দাবি ও পরার্মশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘এ খাতে যে সব সমস্যা রয়েছে, সে বিষয়ে সরকার অবগত আছে। এ সমস্যা দূর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ এসময় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সুষ্ঠু বাস্তায়নের জন্য তিনি সব পক্ষের সার্বিক সহযোগিতা চান।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের গৃহিত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রফতনি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।’

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিম, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শাসছুল আলম, শির্পাস কাউন্সিল অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনর (বিজেএমএ), বিজেএ, বিজেএসএ, পাটচাষি সমিতির প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন