বিজ্ঞাপন

জবিতে অস্ত্রের মহড়ার জন্য প্রশাসনের নীরব ভূমিকাই দায়ী: ছাত্রজোট

February 19, 2019 | 5:02 am

।। জবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চলমান সহিংসতার ঘটনায় ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়ার জন্য প্রশাসনের নীরব ভূমিকাই দায়ী বলেছেন ছাত্রজোটের নেতারা। তারা নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও তাদের সুচিকিৎসার দাবী জানায়। পৃথক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্রইউনিয়ন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি কিশোর কুমার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এক রুটিন মাফিক সাংগঠনিক কাজে পরিণত হয়েছে। আদর্শবর্জিত নীতিহীন ভোগদখলের রাজনীতিই এ হেন কর্মকাণ্ডের মূলভিত্তি। ক্ষমতার নেশায় তরুণ ছাত্র সমাজের ছোট একটা অংশকে গবেষক, বিজ্ঞানী বা ভালো ছাত্র হবার পরিবর্তে ভাতৃঘাতি তৎপরতায় লিপ্ত করছে যার প্রভাব ক্যাম্পাসে বিরাট।

নেতৃবৃন্দরা জানান, এর আগেও ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকনেতৃবৃন্দের উপর হামলে পড়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানালেও সামায়িক বহিষ্কার বাস্তবে এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যে, বহিষ্কৃত হয়েও ক্যাম্পাসে বীরদর্পে রংবাজি করা যায়, বিপুল উদ্যমে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরানো যায়। তারা আরো বলেন, ক্রমবর্ধমান এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের সিনেমেটিক ভূমিকা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণই এই সংঘাত সংহিংসতাকে প্রলম্বিত করছে। প্রতিবারই সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশের নীরব উপস্থিতি তাদের ক্যাম্পাসে অবস্থানকে একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে পর্যবসিত হয়েছে। অথচ এই পুলিশই বিভিন্নসময় ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করেছে। লাঠি ও গুলির ব্যবহার ছাত্রদের এমনকি সরাসরি শিক্ষকদের উপরেও করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মিফতাহ আল ইহসান ও সাধারণ সম্পাদক এমএন জুনাদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রলীগের অভ্যান্তরীন কোন্দলের জেরে মাথায় হেলমেট হাতে অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আতঙ্কে দিনপাত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এবং ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ। কয়েক সপ্তাহের কোন্দলে আহত হয়েছেন দুই ডজন সাধারণ শিক্ষর্থী ও সাংবাদিক। তারা আরো বলেন, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় প্রশাসনের গাঁ-বাঁচিয়ে চলা, অন্যায়কারীদের উপর কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া এ ধরণের ভীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব করছে।

ছাত্রজোটের নেতারা অবিলম্বে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও তাদের তাদের সুচিকিৎসার দাবী জানায় এবং ছাত্রসমাজের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন সমূহকে বর্জন ও আদর্শবাদী সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

সারাবাংলা/জেআর/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন