বিজ্ঞাপন

বৃষ্টির মরদেহ শনাক্ত, দোলা এখনো নিখোঁজ

March 6, 2019 | 5:49 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ দুই বান্ধবীর মধ্যে ফাতেমা-তুজ-জোহরার (বৃষ্টি) মরদেহ শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। তবে বৃষ্টির সঙ্গে থাকা রেহনুমা তাবাসসুম (দোলা)’র সন্ধান মেলেনি সিআইডির ডিএনএ টেস্টেও।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে ডিএনএ টেস্টে ১৯টি মরদেহের মধ্যে ১১ জনকে শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও নাসরিন জাহান নামে দুইজন নারী এবং ৯ জন পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়।

বৃষ্টির বাবা জসিম উদ্দিন সিআইডির ব্রিফিং শেষে জানান, আদরের সন্তান বৃষ্টির ক্ষতবিক্ষত লাশ ফিরে পেতে প্রয়োজনীয় কাজগপত্র নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন। সকালে সিআইডির কার্যালয় থেকে ফোন করে বৃষ্টির বাবাকে ডাকা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি আগুন লাগার আগেই বৃষ্টি তার বান্ধবী দোলাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়েছিল। এরপর তাকে আর পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকদিন পর ভিডিও ফুটেজে তাদের দুজনকে রিকশায় দেখা যায়। এরপর বিস্ফোরণ ঘটে। সিআইডির ডিএনএ টেস্টে আদরের সন্তান বৃষ্টির মরদেহ শনাক্তের কথা জানানো হয়। তবে বান্ধবী দোলার মরদেহ এখনো মেলেনি।

বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মেয়ের শেষ নিশানাটুকু আজিমপুর কবরস্থানেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

লালবাগ পোস্তার রহিম বক্স লেনের বাসা বৃষ্টিদের।

বিজ্ঞাপন

সিআইডির ডিএনএ টেস্টে আরেক নারী নাসরিন জাহানের মরদেহ শনাক্ত হলেও সেটি দোলার নয় বলে জানিয়েছে ঢামেকের ফরেনসিক প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

নাসরিন জাহান হচ্ছে সালেহ আহমেদ লিপু নামের একজনের স্ত্রী। মরদেহ নিতে এসেছেন তার ভাই আনোয়ার হোসেন রনি।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুন লাগে।  এ পর্যন্ত ঘটনায় ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও চারজন।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

কেমিক্যাল গোডাউন সরানোসহ আটদফা সুপারিশ
কেন পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরানো হবে না?

 

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন