বিজ্ঞাপন

ক্রসফায়ারের নামে কাউকে হত্যা করা হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

March 9, 2019 | 3:15 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ক্রসফায়ারের নামে কাউকে হত্যা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্রসফায়ারের নামে কাউকে হত্যা করছে না।’

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বিজি প্রেস মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে গুলি ছুড়ছে তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কাউকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়।’

বিজ্ঞাপন

এরপরও সুশীল সমাজের অনেকেই সমালোচনা করছেন বলে অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাকি নিরাপরাধীদের ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। এসব বলে কেবল সন্ত্রাসীদেরই উসকে দেওয়া হয়। এতে সন্ত্রাসীরা আরও পার পেয়ে যায়। তারা কি দেখে না, মাদকে একটা দেশের যুবশক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছিল।’

প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপে মাদকের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘‘যারা ইয়াবা সেবন করেন তাদের মেধা বিলুপ্ত হয়। ৩/৪ বছর ইয়াবা হেরোইন সেবন করলে নিজের নামটাও ভুলে যাবার উপক্রম হয়। একটা মানুষ যদি ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকেন তাহলে তিনি কতোটা সুস্থ থাকতে পারেন? আমরা কঠিন সাজার ব্যবস্থা করে নতুন আইন করেছি। এই আইনের কঠোর প্রয়োগ হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নেবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কারাগারে ৩৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা। অথচ আছে ৯৫ হাজার কয়েদি। এই কয়েদিদের অধিকাংশই মাদক সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেফতার। কঠোরতার কারণেই আজ মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের জায়গা কারাগারে।’

বিজ্ঞাপন

আমি বিজিবিকে নির্দেশনা দিয়েছি কোনোভাবে সীমান্ত দিয়ে যেন মাদক না ঢোকে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোস্টগার্ডকে বলেছি উপকূলে নজরদারি রাখতে। এরপরেও মাদক আসছে। আমরা মাদক তৈরি করি না তবুও মাদক আসছে। মাদক কি ক্ষতি করছে তা ঘরে ঘরে জানতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। ইয়াং গ্রুপ সিসা বারে যায়। হুক্কা টানে। আগুনে ইয়াবা গুড়া করে টানছে। সেজন্য আমরা সিসা বারও নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মাদক ব্যবসা ছাড়তে চান তাদের শেষ সুযোগ দেওয়া হবে। নইলে জেলে যেতে হবে। আর অস্ত্রের ঝনঝনানি যদি দেখাতে চান তাহলে কি পরিণতি হতে পারে তা বুঝতে পারবেন। মাদকের ব্যাপারে যারা তথ্য দিচ্ছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে।’ এসময় মাদকাসক্ত সন্তানের তথ্য দেওয়ার জন্য মা-বার প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আর ঠুঁটো জগন্নাথ নয়। এখানকার জনবল দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে কখনো কখনো পায়ে হেঁটেও মাদকবিরোধী অভিযানে যেতেন কর্মকর্তারা। এখন প্রত্যেক জেলায় কর্মকর্তাদের জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছে। যে কারণে কাজে গতি ফিরেছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মোসাদ্দেক মো. আবুল কালাম, কাউন্সিলর মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল, মানসের অধ্যাপক ড. অরুপ রতন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/জেএএম/এমও

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন