বিজ্ঞাপন

সেদিন খেলোয়াড়রা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে: যোশি

March 19, 2019 | 8:53 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের কথা হয়তো কখনোই ভুলতে পারবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শুধু তারাই নয়, ক্রিকেট সমর্থক ও সংশ্লিষ্টরাও হয়তো ভুলতে পারবে না এই ঘটনা। অবশ্য এমন দিনের কথা খুব সহজে ভুলে যাওয়ার কথাও নয়। ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সেই ঘটনার দিনে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে বলে জানিয়েছেন দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশি।

বিজ্ঞাপন

গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের আগে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর গুলির ঘটনা ঘটে। এই সন্ত্রাসী হামলায় ৪ বাংলাদেশিসহ মোট ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন গুরুতর আহত হন। সেদিন আল নূর মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। যেখানে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানের কারণে হামলা থেকে বেঁচে যান তারা।

এই ঘটনার পর ১৬ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৭ মার্চ দেশে ফিরিয়ে আনা হয় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের।

ক্রাইস্টচার্চে কপালভাগ্যে বেঁচে ফেরা তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা সেদিন যে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন, সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশি। নিজ দেশ ভারতে ফিরে দেশটির গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে একটি সাক্ষাৎকার দেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। সাক্ষাৎকারে তিনি সেদিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি তখন হোটেলেই ছিলাম। হঠাৎ টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট ফোন করে জানালো, হোটেলেই থাকতে। বাইরে গোলাগুলি হচ্ছে, তাই যেন বের না হই। বাকিটা তো সবাই জানেন।’

বিজ্ঞাপন

শেষ টেস্টকে সামনে রেখে সেদিন (১৫ মার্চ) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে মসজিদে যেতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। যে কারণেই আসলে বেঁচে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। যোশিও সেটাই বললেন, ‘ভাগ্য যদি ভালো না হতো, তাহলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সংবাদ সম্মেলনও ঠিক সময়ে শেষ হয়ে যেতো। সেখানে কিছুক্ষণ দেরি হওয়ার পর মসজিদের কাছাকাছি যাওয়ার পর এক অপরিচিত নারী এসে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন। সেটা না হলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতো।’

অপরিচিত সেই নারীর কারণেই আসলে বেঁচে ফিরতে পেরেছে টাইগাররা। তবে ভয়াভহ সেই দৃশ্য ভুলতে যে বেশ কষ্ট হবে, সেটাই জানিয়েছেন যোশি। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা এই পরিস্থিতি দেখে স্বাভাবিক থাকতে পারেনি। তবে হোটেলে ফিরেই একে অপরকে বুকে জড়িয়ে কেঁদেছে। সেদিন রাতে কেউ একা ঘুমায়নি, কয়েকজন মিলে একটা রুমে থেকেছে তারা।’

সারাবাংলা/এসএন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন ক্রাইস্টচার্চের বিভীষিকা পার হয়ে দেশে ফিরলো টাইগাররা

স্টেডিয়ামে আটকা পড়েছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা

আমরা অনেক ভাগ্যবান: খালেদ মাসুদ পাইলট

‘যারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তাদের ওখানেই খেলতে যাব’

বিজ্ঞাপন

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন