বিজ্ঞাপন

নুসরাত হত্যায় কেরোসিন ও বোরখা এনেছিল মনি, ফেনীতে গ্রেফতার

April 16, 2019 | 5:25 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া কামরুন্নাহার মনিকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কেরোসিন ও বোরখা কিনে এনেছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জান্নাতুল আফরোজ নামে আরেক ছাত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী জেলা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পিবিআই সদর দফতরে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি।

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া মনিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সে কেরোসিন ও বোরকা কিনে মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারে এনেছিল। তার কাছে আরও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি মনি। সে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। এমনকি নুসরাতকে পুড়িয়ে মারতে ব্যবহৃত এক লিটার কেরোসিন পলিথিনে বহন করে এনেছিল এই মনি। তার বাবার নাম ছালেহ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া জান্নাতুল আফরোজকে গ্রেফতার করার বিষয়টি মাদরাসার মাওলানা মো. হোসাইনও নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জান্নাতুলকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। সে স্থানীয় আবদুল আজিজের মেয়ে।

এ নিয়ে মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের শ্যালিকার মেয়ে উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি ও জান্নাতুল আফরোজ।

এদের মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত আটজনের মধ্যে ৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজাহারভুক্ত এক আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। এর জেরে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। চলতি মাসের ১০ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
তনু হত্যার বিচার হলে আমরা নুসরাতকে হারাতাম না
নুসরাতের হত্যাকারীদের কাউকে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী
ফেনীতে নুসরাতকে নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের মন্তব্যে তোলপাড়
‘সাগর-রুনি-তনু-আফসানার খুনিদের শাস্তি হলে নুসরাতকে মরতে হতো না’

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন