বিজ্ঞাপন

চবি সিএসই বিভাগে উত্তরপত্রে আগুন, প্রতিবেদন জমা পড়েনি ১ বছরেও

May 2, 2019 | 5:56 am

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২০১৮ সালের ১৫ মে রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিনটি সেমিস্টারের মোট প্রায় ৭০৯ উত্তরপত্র পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। প্রায় ১ বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে, সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে এই প্রতিবেদন দ্রুত জমা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কয়েকজন শিক্ষক।

বিজ্ঞাপন

বেশ কয়েকজন শিক্ষক সারাবাংলাকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র পুড়িয়ে দেওয়া, এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটির উচিৎ দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়া। যদি প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে এটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যার্থতা। এরকম ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত বিচার করা দরকার। যাতে অপরাধীরা পার পেয়ে না যায়। আর না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কিছু নিরাপদ নয়। যেকোন মূহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ডকুমেন্ট, হারিয়ে যেতে পারে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম থমকে যাবে। তাই অতিদ্রুত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়ে, অপরাধীদের সনাক্ত করে ব্যাবস্তা গ্রহণ করতে হবে।

গেল বছর ২০১৮ সালের ১৫ মে গভীর রাতে চবি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তিনটি সেমিস্টারে প্রায় ৭০৯টি উত্তরপত্র পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় তার পরের দিনে ১৬মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন ও লিটন মিত্র। এই গঠিত কমিটিকে পাঁচকর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। এই পাঁচকর্ম দিবস শেষ হওয়ায় তদন্ত কমিটি আরো ১৪দিন সময় বাড়িয়ে নেয়। সেই সময়ও শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি।

অন্যদিকে, যেসব কোর্সের উত্তরপত্র পোড়ানো হয়েছে, সেসব কোর্সের পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.মাহবুবুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, আমরা একটা রিপোর্ট তৈরি করেছি। খুব শিগগিরই এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

হাটহাজারি থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) মো: বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর সারাবাংলাকে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করতে সময়ের প্রয়োজন। বিষয়টি এখনো তদন্তনাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, পুড়িয়ে দেওয়া খাতার মধ্যে তৃতীয় সেমিস্টারের দুটি কোর্স, পঞ্চম সেমিস্টারের চারটি এবং সপ্তম সেমিস্টারের তিনটিসহ মোট নয়টি কোর্সের উত্তরপত্র ছিল। বিভাগের সভাপতির কক্ষে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ঘটনার দিন রাত ১২টা ৫৫ সেকেন্ডে বন্ধ হয়ে যায়। পরীক্ষার উত্তরপত্রগুলো কোডিং করে প্রথম পরীক্ষককে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই দুর্বৃত্তরা তা পুড়িয়ে দেয়। সভাপতির কক্ষ, অফিস কক্ষ ও স্টোর রুমের তিনটি তালা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি সভাপতির কক্ষের একটি ড্রয়ারও খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/টিএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন