বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় ফণী: মাগুরায় ৩টি কন্ট্রোল রুম

May 2, 2019 | 6:39 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মাগুরা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে জেলা প্রশাসন। জেলায় ৫৯টি মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ মে) মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক এক জরুরি সভা থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিভিল সার্জনসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের সমন্বয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন- ফণীর প্রভাব মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৯৫৪৬০৭২

সভায় জানানো হয়, ফণীর প্রভাব মোকাবিলায় যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম নম্বর ০১৭৬৫৭৭১১৯৯ ও ০১৭৬৫৭৭২২৬৬, পুলিশ কন্ট্রোল রুম ০১৭৪৮৭৯৪৮৭৭ ও হাসপাতালে ০১৭১২৬৩০৩১৪ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রস্তুতি তুলে ধরে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও স্কাউটের একাধিক টিমসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসবেকরা প্রস্তুত রয়েছেন। জেলায় মোট ৫৯টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ওষুধ রিজার্ভ রাখা হয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে নৌযানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন- চুয়াডাঙ্গায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হেনে আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ফণী। দিক পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়টির সরাসরি বাংলাদেশেও আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ফণীর প্রভাবে এরই মধ্যে সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ। খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, বাগেরহাট, কক্সবাজার, চাঁদপুরসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন সেন্টারগুলো। উপকূলীয় জেলাগুলোতে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ফণী আঘাত হানতে পারে— সম্ভাব্য এমন জেলাগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয়ভাবে এসব জেলার প্রতিটিতে পাঠানো হয়েছে ২০০ টন চাল ও ৫ লাখ নগদ টাকা। এছাড়া শুকনো খাবারের ৪১ হাজার প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন