বিজ্ঞাপন

বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া হলো না ঢাবি শিক্ষার্থীর

May 3, 2019 | 2:33 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তুচ্ছ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার কারণে তিনি  আজ বিএসএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন তার সহপাঠী ও স্বজনরা। তানভীরুল আহমেদ নামে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে  মাস্টার্সে লেখাপড়া করছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩ মে) তানভীরের স্বজন ও বন্ধুরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে আত্নীয়ের বাড়ি যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে।এসময় গাড়ীতে থাকা ব্যক্তিরা তাকে ও তার মামা ফেরদৌসুল হককে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

২০১২-১৩ সেশনের শহিদুল্লাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তানভীর  ৪০ তম বিসিএসের পরীক্ষার্থী ছিলেন বলে জানান তার সহপাঠীরা। কিন্তু থানায় আটক হওয়ার কারণে  আজ তিনি পরীক্ষা দিতে পারেননি।তানভীরকে আজ ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জাসেদুল ইসলাম ঢাবি শিক্ষার্থী তানভীরের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে মামলাটি করেন। যেসব ধারায় এ মামলা করা হয় সেগুলো হলো-১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৪১৯ ও ৩৪। এসব ধারার মধ্যে ১৮৬ নম্বর ধারা হলো- সরকারি কাজে বাধা দেওয়া। ৩৩২ ধারা- সরকারি লোকদের আঘাত করা, ৪১৯ নম্বর ধারা প্রতারণা করা ও ৩৪ নম্বর ধারা হলো এসব করার জন্য পরস্পর যোগসাজশ করা ।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবহিত হয়েছি। তারা আইনি প্রক্রিয়ায় গেছে। আমরা জানার পরে থেকে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। আইনগতভাবে কি করা যায় সেটা দেখার জন্য আইনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের বলেছি।

এদিকে, থানায় আটক ও পরে কোর্টে চালান হওয়ার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় দিতে না পারার খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদের (ডাকুস) সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘শাহবাগ থানা থেকে আসলাম। ভূগোল বিভাগের তানভীর ভাইকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।মামলা হয়েছে সরকারি কাজে বাধা দানের। ধাক্কা লাগলো সেনাবাহিনীর গাড়ির সাথে,আর জেলে গেল ঢাবির ছাত্র।এইসব অন্যায় মেনে নিয়ে থাকা যায় না। ঢাবি নীরব থাকতে পারেনা।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেকে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন