বিজ্ঞাপন

বিএসএমএমইউতে পেট্রোল বোমার নেপথ্যে বিএনপি, সন্দেহ তথ্যমন্ত্রীর

June 8, 2019 | 6:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাওয়া পেট্রোল বোমাসদৃশ বস্তুর সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সরকার এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভোরে বিএসএমএমইউ’র প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে থেকে পেট্রোল বোমাসদৃশ বন্তু উদ্ধার করা হয়। কারাবান্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। ‘পেট্রোল বোমা’ উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এর প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রিজভী আহমেদ উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু আমরা তাদের চেয়ে আরও বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ পেট্রোল বোমার সঙ্গে বিএনপি এবং রিজভী আহমেদরা খুব ভালো পরিচিত। ২০১৩, ২০১৪-১৫ সালে বিএনপিই তো পেট্রোল বোমা বানিয়ে মানুষের ওপর নিক্ষেপ করেছে। বাস-ট্রাক, সরকারি অফিস-আদালতের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। সেজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেট্রোল বোমা পাওয়ার ঘটনায় আমরা বরং বেশি উদ্বিগ্ন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী নন বলে বলা হচ্ছিল। একটি বিশেষ হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। এখন বেগম খালেদা জিয়াকে তারা যেহেতু সেখানে রাখতে চান না এবং ইউনাইটেড কিংবা অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে চান, এজন্য পেট্রোল বোমাসদৃশ জিনিস পাবার পেছনে তাদের (বিএনপি) কোনো যোগসাজশ আছে কি-না সেটা খুঁজে বের করা দরকার। এটি অবশ্যই তদন্ত হবে।’

ঈদের দিন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের দেখা করতে না দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেল কোডে স্পষ্ট বলা আছে, ঈদের দিন বন্দির আত্মীয় স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের দেখা করতে দিতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপি নেতারা তো বেগম খালেদা জিয়ার বন্ধু নন, রাজনৈতিক সহকর্মী। তারা রাজনৈতিক নেতা। অভিযোগ করার আগে তাদের জেলকোড পড়ে দেখা উচিৎ ছিল।’

সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন