বিজ্ঞাপন

গহীনকে পেতে আদালতে সাত দম্পতি

June 26, 2019 | 4:57 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিশু হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু ‘গহীন’কে সন্তান হিসেবে পেতে আদালতে সাত দম্পতি আবেদন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আবেদনে সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং ছোট সোনামনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক ও পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশের ৫(২) ধারা ও ১৮৯০ সালের গার্ডিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্ডস অ্যাক্ট এবং বিধান অনুযায়ী গহীনের শরীরের অভিভাবক ও তত্ত্বাবধায়ক হওয়ার আবেদন জানানো হয়।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারক সাফিয়া সারমিন সাতটি আবেদনের বিষয়ে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করে আগামী ২ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে দেন।

বিজ্ঞাপন

এর ১৪ মে শিশু হাসপাতালের বাথরুমে কান্নার শব্দ পেয়ে তিনদিন বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করেন হাসপাতালের একজন কর্মচারী। এরপর থেকে শিশুটির দেখাশোনা করে আসছিলেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাসেল মাহমুদ ও তার স্ত্রী পলি বেগম।

দু’দিন পর ১৬ মে ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে ছোটমনি নিবাসের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেওয়া হয় শিশু গহীনকে।

বিজ্ঞাপন

এক দশক আগে এই দম্পতির বিয়ে হলেও তারা নিঃসন্তান। তারাই শিশুটির নাম রাখেন গহীন। শুরু থেকেই তারা শিশুটিকে দত্তক নিতেও আগ্রহী ছিলেন। আদালতে রাসেল মাহমুদ ও পলি বেগম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মো. শাহ আলম শাহীন ও তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের নির্বাহী সদস্য হামিদা আক্তার মিতা, মেসার্স তালবিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. কাউছার আহমেদ ও তার স্ত্রী ভিয়েনা আক্তার, মো. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিনিয়র সাব-এডিটর শামীমা ইয়াসমিন, পপুলার অ্যাসোসিয়েটের স্বত্বাধিকারী মো. শফিউদ্দিন ও তার স্ত্রী শায়লা সফি এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ আলী ও তার স্ত্রী শিক্ষিকা তাহমিনা আক্তার আবেদন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ
গহীনেই মুগ্ধ সবাই
আজিমপুরের ছোটমনি নিবাসে যাচ্ছে শিশু ‘গহীন’
শিশু গহীনকে ফেলে যাওয়া দুই নারীকে শনাক্ত করা যায়নি

সারাবাংলা/এআই/এটি

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন