বিজ্ঞাপন

চটেছেন আকরাম খান

July 25, 2019 | 5:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

উল্লেখ করার মত কোনো নাম আফগানিস্তান ‘এ’ দলে নেই। এক অর্থে সবাই আনকোরা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ‘এ’  দলের হয়ে যারা খেলেছেন তাদের ৭ জনই লাল সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতায় পুষ্ট। দুই তিন জন আগামি কাল থেকে শুরু হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডেও আছেন।কিন্তু সেই দলেরই কী না এমন হাল! কী প্রবল বিক্রমেই না অভিজ্ঞ বাংলাদেশকে অনভিজ্ঞ আফগানরা গুঁড়িয়ে দিল! দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট ১-০ তে জিতে নেওয়ার পর তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেতেও জয় জয়কার আফগানদেরই।

বিজ্ঞাপন

ঘরের মাঠে নিজেদের কন্ডিশনে অভিজ্ঞতায় পুষ্ট দল নিয়ে সফরকারী নামডাকহীন প্লেয়ারদের নিয়ে সাজানো দলটির কাছে এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে যারপরনাই চটেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। ইমরুল, বিজয়রা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন, সেটা জানিয়ে দিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে।

‘আমি মনে করি এটা প্লেয়ারদের ব্যর্থতা। কারণ এখানে এসে তারা পারফর্ম করতে পারছে না। যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করছে ওদের নিয়েই আমরা দল করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে যদি চিন্তা করি, এটা প্লেয়ারদের জন্য অনেক ভাল একটি সুযোগ ছিল। কারণ বিদেশি দলগুলোর সঙ্গে যদি পারফর্ম করতে পারে তাহলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা সহজ হয়ে যায়। আমাদের প্লেয়ারদের যে কোয়ালিটি তাতে প্রথম যে দুইটা ম্যাচ হেরেছি, সেখানে জেতা উচিত ছিল। প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স যেরকম আশা করি ওরকম হচ্ছে না।‘ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিসিবি কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটের ধরণও বদলেছে। এক দশক আগেও ক্রিকেটের তিন বিভাগের যেকোনো একটিতে পারদর্শী হলেই চলতো। ভাল ব্যাটিং কিংবা বোলিং পারি, ব্যাস তাতেই চলে যাবে। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেট ঠিক সেভাবে চলছে না। বোলিং, ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দক্ষ হওয়া চাই।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই অলরাউন্ডিং নৈপুন্য বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মধ্যে অনুপস্থিত। সেটা যেমন জাতীয় দলে তেমনই ‘এ’ দল বা বয়স ভিত্তিক দলগুলোতেও। নামান্তরে সেটা কতটা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে আকরামের চাইতে তা ভাল আর কে জানে?

সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তামিম, মুশফিকদের দৈন্য ফিল্ডিংয়ে হাতের মুঠো গলে কী অমূল্য এক একটি জয়ই না বেরিয়ে গেছে। তাতে করে বিশ্বকাপে সেমি ফাইনাল স্বপ্নের সলির সমাধি ঘটেছে। অতৃপ্তির বেদরা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে মাশরাফি-সাকিবদের।

বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেও সেই একই দৃশ্যের মঞ্চয়ান দেখেছেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে ‘এ’ দলের হতশ্রী ফিল্ডিং, ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের কারণে অনভিজ্ঞ আফগানদের কাছে হার। ঠিক যেন মানতেই পারছেন না লাল সবুজের সাবেক দলপতি।

বিজ্ঞাপন

‘একটা জিনিস আমাদের মানতে হবে, যে বোলার সে শুধু বোলিং দিয়ে পারফর্ম করলেই হবে না। বর্তমানের ক্রিকেট ওই ক্রিকেট না। এখন কিন্তু ফিল্ডিং, ব্যাটিং ও বোলিং তিনটা বিভাগই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা বোলার বা ব্যাটসম্যান তাদের ফিল্ডিংটাও সেরা হতে হবে। সেখানে অনেক ঘাটতি আছে। এই যে হারছি তার পেছনে এটা অন্যতম একটি কারণ। আমাদের একটি দল হয়ে খেলতে হবে। শুধু ব্যাটিং ভাল করে ফিল্ডিং না করতে পারলে হবে না।’

আরও পড়ুন: পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন