বিজ্ঞাপন

এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুকের জামিন মঞ্জুর

August 20, 2019 | 4:18 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নকশা জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। ২০ হাজার টাকায় মুচলেকা দিয়ে আগামী ২৯ আগস্ট নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুক গ্রেফতার

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এসময় তাসভীর উল ইসলামের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. বাহারউদ্দিন তার জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে, মোশাররফ হোসেন কাজল ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরসহ রাষ্ট্রপক্ষের দুদকের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে গুলশান-২ থেকে দুদকের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক তাকে গ্রেফতার করেন।

নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নিমার্ণের অভিযোগে এফ আর টাওয়ারের মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যান ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান, কাশেম ড্রাইসেলের এমডিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২৫ জুন পৃথক দুই মামলা দায়ের করে দুদক। সেই মামলায় ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান বারিধারা এলাকা থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি) এফআর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে (৬৫) গ্রেফতার করে। এরপর গত ৬ মে তিনি ওই মামলায় জামিন পান।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ আগস্ট) একই মামলার আসামি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক। এরপরের দিন আদালত থেকে তিনি জামিন পান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৫ তলার অনুমোদন থাকলেও অবৈধ নকশা ব্যবহার করে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে গড়ে তোলা হয় এফআর টাওয়ার। ১৫ তলা নকশার অনুমোদনেও মানা হয়নি কোনো নীতিমালা। নেই ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদফতর ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমোদন। ১৮ থেকে ২৩ তলা নির্মাণের কোনো তথ্যই নেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে। জমির মালিক ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি প্রশাসনের নাকের ডগায় নিজ সিদ্ধান্তে নির্মাণ করেছে বাকি পাঁচতলা। যারা আসামি হয়েছেন তারা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারের অষ্টম তলা থেকে আগুন লাগে। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন